ফাইল ছবি
নির্বাচন সামনে রেখে গণমাধ্যমের ওপর নতুন করে কড়াকড়ি আরও বাড়ালো রাশিয়া। সংবাদমাধ্যমগুলোতে নির্বাচনী সংবাদ প্রচারে বিধিনিষেধ আরোপের লক্ষ্যে একটি নতুন আইন সংস্কারের অনুমোদন দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিরোধীদের ওপর কঠোর দমননীতি এবং তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও ওয়েবসাইট আগেই নিষিদ্ধ ছিল রাশিয়ায়।
আগামী বছরের মার্চে রাশিয়ায় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে । ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট পুতিন আগামী নির্বাচনেও অংশ নেবেন কিনা, এখনো এমন কোনও ঘোষণা পাওয়া যায়নি। তবে, পার্লামেন্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরেই তার সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
যদিও ৭১ বছর বয়সী রুশ প্রেসিডেন্ট এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেননি। তিনি বলেছেন, পার্লামেন্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরেই সিদ্ধান্ত জানাবেন।
রাশিয়ার নতুন নিয়ম অনুসারে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধিবেশনগুলোতে কেবল নিবন্ধিত গণমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিরাই উপস্থিত থাকতে পারবে। বাদ পড়বেন ফ্রিল্যান্সার বা স্বাধীন সাংবাদিকরা।
আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন শি জিনপিং
নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক ও সামরিক কর্তৃপক্ষগুলোর কাছ থেকে আগাম ছাড়পত্র ছাড়া সামরিক ঘাঁটি বা সামরিক আইনের অধীনে থাকা এলাকাগুলোতে নির্বাচন কমিশনের কার্যকলাপের খবর প্রচার নিষিদ্ধ থাকবে।
এছাড়া, ‘ব্লকড উৎস’ বা নিষিদ্ধ ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত কোনো প্রচারণামূলক কন্টেন্ট প্রচার করতে পারবে না গণমাধ্যমগুলো।
বিরোধীদের ওপর কঠোর দমননীতি এবং তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া।
শোনা যায়, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্য বেশ কিছু ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্লক করারও পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির ডিজিটাল উন্নয়ন, যোগাযোগ ও গণমাধ্যম মন্ত্রণালয়।
সূত্র: আল-জাজিরা
এসি/ আই. কে. জে/