ছবি: সংগৃহীত
ফুটবল বিশ্বকাপ এলে বোঝা যায় ব্রাজিল–আর্জেন্টিনাকে নিয়ে এ দেশের মানুষ কতটা ভাবেন। সবার মুখে মুখে তখন এ দুই দলের ফুটবলারদের গল্প। একবার ভাবুন, সেই গল্পের নায়কদের চোখের সামনে দেখলে কেমন লাগবে! কদিন পরই মিলতে পারে তেমন একটা সুযোগ। ১১ই ডিসেম্বর ঢাকায় আসার কথা দুই কিংবদন্তি ফুটবলার কাফু ও ক্লদিও ক্যানিজিয়ার।
ব্রাজিলের কাফু ও আর্জেন্টিনার ক্যানিজিয়াকে নিয়ে আসছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান এ এফ বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। সেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ডি আসাদুজ্জামানই এ তথ্য দিয়েছেন। দুই ফুটবলারের ঢাকা সফর নিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কাফু ও ক্যানিজিয়া ১১ তারিখ সকালে একই ফ্লাইটে ঢাকায় আসবেন। ১৩ তারিখ একই সঙ্গে চলে যাবেন।’
হঠাৎ কেন ঢাকায় আসছেন কাফু–ক্যানিজিয়া? আজ থেকে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে লাতিন–বাংলা সুপার কাপ। এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষেই তারা দুজন আসছেন ঢাকায়। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ খেলবে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার নামে। সম্প্রতি চীনে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব খেলা দলের ১৯ জন আছেন এই স্কোয়াডে।
প্রথম ম্যাচ আজ সন্ধ্যা সাতটায় রেড গ্রিন ফিউচার স্টারের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের অনূর্ধ্ব–২০ দল। ক্লাবটি ব্রাজিলের তৃতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় নিয়মিত। ৮ই ডিসেম্বর রেড গ্রিন ফিউচার স্টার খেলবে আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসভিত্তিক স্থানীয় ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনের অনূর্ধ্ব–২০ দলের সঙ্গে।
যারা মূলত স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও প্রীতি ম্যাচ খেলে থাকে। এরপর ১১ তারিখ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার দুই ক্লাব মুখোমুখি হবে। তিনটি ম্যাচই জাতীয় স্টেডিয়ামে।
এক হাজার টাকার টিকিট কিনে ফুটবল ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের থেকে প্রতিদিন লটারির মাধ্যমে ১০ জন ভাগ্যবান দর্শক কাফু–ক্যানিজিয়ার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান।
ফুটবলের পাশাপাশি থাকছে সাংস্কৃতিক আয়োজনও। উদ্বোধনী দিনে বিকেলে স্টেডিয়ামে গান গাইবেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেমস। এ ছাড়া কাফু–ক্যানিজিয়ার সঙ্গে নৈশভোজের সুযোগও পাবেন ভক্ত–সমর্থকেরা। ১২ই ডিসেম্বর তাদের সঙ্গে নৈশভোজ করতে গুনতে হবে ৫০ হাজার টাকা। আর এক হাজার টাকার টিকিট কিনে ফুটবল ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের থেকে প্রতিদিন লটারির মাধ্যমে ১০ জন ভাগ্যবান দর্শক তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান।
কাফু–ক্যানেজিয়াকে ঢাকায় আনা এবং তিন ম্যাচের ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে আসাদুজ্জামানের দাবি, ‘এই টুর্নামেন্ট করার মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ ও উজ্জীবিত করা। পুরো আয়োজনের জন্য তো অনেক টাকা খরচ হবে। আমরা টিকিট সেল করব, স্পনসরশিপের পেছনেও দৌড়াচ্ছি; এসব থেকে যতটুকু কাভার হয়।’
খবরটি শেয়ার করুন