ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ায় কাজ করতে বা থাকতে আসলে তাদেরকে রাশিয়ান ভাষা শিখতে হবে ও আইন মানতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার (৪ঠা ডিসেম্বর) ঐতিহ্যগতভাবে অনুষ্ঠিত সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের উন্নয়ন কাউন্সিলের সভায় এসব কথা বলেন পুতিন।
তিনি বলেন, অভিবাসীদের রাশিয়ান রীতিনীতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান করতে হবে।
পুতিন বলেন, আমাদের এমন শ্রম সংস্থান আকর্ষণ করতে হবে যা রাশিয়ান অর্থনীতির স্বার্থ পূরণ করে। এর মানে হলো, লোকেদের অবশ্যই একটি ভাষাগত, জাতিগত সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে। তাদের অবশ্যই আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে হবে।
পুতিন জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়া এবং এর নাগরিকদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সব অভিবাসী এবং দর্শনার্থীদেরও রাশিয়ার আইন মেনে চলতে হবে। অবশ্যই, একটি সভ্য দেশ হিসাবে অবশ্যই আমাদেরকে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলকে জানান যে, রাশিয়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশে রাশিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি শেখার স্কুল খুলছে।
এর আগে মস্কো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। রাশিয়ার অভিযোগ, এসব সংস্থা পশ্চিমাদের নিয়ন্ত্রিত। তারা রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব, ভণ্ডামি করে।
এদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে আবারও চালকের আসনে ফিরেছে রাশিয়া। অর্থ ও অস্ত্র সংকটে ইউক্রেন শীতের সময়ে যুদ্ধে পিছিয়ে পড়ছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে শুক্রবার অতিরিক্ত এক লাখ ৭০ হাজার সেনা বাড়িয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনীতে মোট সেনা সদস্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ লাখের বেশি।
আরো পড়ুন: নাগরিকদের বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কিম
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ শুক্রবার বলেছেন, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তির আওতায় চার লাখ ৫২ হাজারেরও বেশি লোককে সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে সেনা সদস্য বাড়ানোর জন্য ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ এবং ন্যাটোর সম্প্রসারণের উচ্চ হুমকিকে দায়ী করেছে রাশিয়া। তারা বলছে, তাদেরকে সশস্ত্র যুদ্ধে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়নি।
সূত্র: আরটি
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন