শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, ২৭শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

অন্যায়ের বিরুদ্ধে দ্রোহ, মানবতার প্রেম ও সাম্যবাদের চেতনায় দীপ্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্যলোকে কাজী নজরুল ইসলাম‘বিদ্রোহী কবি’। তার এই উপাধি ব্যাপকভাবে প্রচলিত এবং সাধারণের মধ্যে এককভাবে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ক্ষণজন্মা এই কবিকে কেবলমাত্র বিদ্রোহী কবি হিসেবে চিহ্নিত করলে চলে না, কেননা নজরুল বিদ্রোহী কবি এ কথা যতটা সত্য, ততটাই সঠিক তিনি প্রেমের কবি। তার কাব্যে সংগ্রামী চেতনা এসেছে নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষদের জাগানোর প্রয়োজনে, যা ছিল সময়ের দাবি, পাশাপাশি মুখরিত হয়েছে প্রেমের চিরন্তন বাণীতে, যা শ্বাশতকালের মানব হৃদয়ের আবেদন। বলা য়ায় নজরুল কাব্যে প্রেম ও দ্রোহ এই দুটি সত্তা সর্বদা তীর্যক ধারায় প্রবহমান। আর এই বক্তব্যের পরিপূর্ণ যৌক্তিকতা মেলে ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরি, আরেক হাতে রণতূর্য’ বিদ্রোহী কবিতার এই একটি মাত্র উক্তি থেকেই। 

জাতীয় কবির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (১২ই ভাদ্র)। ১৯৭৬ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। শৈশব থেকেই কঠিন দারিদ্র্য মোকাবিলা করে বড় হয়েছেন তিনি।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম সৃষ্টিশীল ছিলেন মাত্র ২৩ বছর। নজরুলের এই ২৩ বছরের সাহিত্যজীবনের সৃষ্টিকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। কবি নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ–বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে। অপর দিকে তিনি ছিলেন চিরপ্রেমের কবি। 

আরও পড়ুন: বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালেন সংগীতশিল্পী মনির খান

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪শে মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে কবি নজরুলকে সপরিবার বাংলাদেশে আনা হয়। তাকে দেওয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বসবাসের ব্যবস্থা করে ধানমন্ডিতে কবিকে একটি বাড়ি দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে কবিকে সম্মানসূচক ডি–লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। একই বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারি একুশে পদকে ভূষিত করা হয় কবিকে।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট দিনটি পালনে সকালে কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। বাংলা একাডেমি ও নজরুলীয় সংগঠন বাঁশরির পক্ষ থেকে কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এসি/কেবি

কাজী নজরুল ইসলাম প্রেম-দ্রোহ

খবরটি শেয়ার করুন