ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী বিতর্কিত ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনের সম্পর্ক আবারও আলোচনায় এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ই জুলাই) ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে)’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে এপস্টেইনের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে একটি অশ্লীল চিঠি পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প—যেখানে ছিল হাতে আঁকা একজন নগ্ন নারীর ছবি ও কিছু কৌতুকপূর্ণ বার্তা।
ডব্লিউএসজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিঠিটি ছিল জন্মদিনের একটি ‘বিশেষ’ অ্যালবামের অংশ। এপস্টেইনের জন্মদিন উপলক্ষে তার সাবেক সঙ্গী ঘিসলেন ম্যাক্সওয়েল এটি তৈরি করেছিলেন। চিঠিটিতে ট্রাম্পের নামসহ টাইপরাইটারে লেখা একটি কথোপকথন রয়েছে। একজন নগ্ন নারীর অবয়বে চিঠিটি বাঁধাই করা ছিল। ওই নারীর স্তন, যৌনাঙ্গসহ স্পর্শকাতর অংশে ‘ডোনাল্ড’ স্বাক্ষরও ছিল। চিঠির শেষ লাইনে এপস্টেইনের উদ্দেশে লেখা ছিল, ‘শুভ জন্মদিন—প্রতিটি দিন হোক আরেকটি চমৎকার গোপন রহস্য।’
টাইপ করা সেই কথোপকথনে ট্রাম্প ও এপস্টেইনের কথাবার্তা ছিল এমন—
‘জীবনে সবকিছু থাকলেও নিশ্চয়ই আরও কিছু আছে।
ট্রাম্প: হ্যাঁ, আছে। তবে আমি বলব না—সেটা কী।
এপস্টেইন: আমিও বলব না। আমিও জানি সেটা কী।
ট্রাম্প: আমাদের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে, জেফরি।
এপস্টেইন: হ্যাঁ, আছে। এখন মনে পড়ছে।
ট্রাম্প: রহস্যেরা কখনো বুড়ো হয় না, খেয়াল করেছ?
এপস্টেইন: আসলে, শেষবার তোমাকে দেখে সেটাই মনে হয়েছিল।
ট্রাম্প: বন্ধু আমার, এটা সত্যিই চমৎকার এক ব্যাপার। শুভ জন্মদিন—প্রতিদিন হোক নতুন এক রহস্য।’
চিঠি ও অঙ্কনের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর ট্রাম্প এগুলোর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, চিঠিটি জাল এবং তিনি কখনো এ ধরনের কিছু লেখেননি বা আঁকেননি।
ট্রাম্প বলেন, ‘এটা আমি না। এটা পুরোপুরি ভুয়া একটা গল্প। আমি জীবনে কখনো ছবিই আঁকিনি, কোনো নারীর ছবি দূরের কথা... এটা আমার ভাষা নয়, আমার শব্দ নয়।’
ট্রাম্প জানান, তিনি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউজ কর্প ও রুপার্ট মারডকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, তিনি ও হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট আগেই সতর্ক করেছিলেন যেন এ প্রতিবেদন প্রকাশ না করা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘সংবাদমাধ্যমকে সত্যবাদী হতে শিখতে হবে এবং অবিশ্বস্ত সূত্রের ওপর নির্ভর করা বন্ধ করতে হবে।’
খবরটি শেয়ার করুন