মঙ্গলবার, ১৫ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ওয়ারীতে জনপ্রতিরোধে বাঁচল কিশোরের প্রাণ *** মিটফোর্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার মাহিনের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের ছবি, বিএনপির কারো নয়: মির্জা আব্বাস *** লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন: মির্জা ফখরুল *** ফিল্ম ফেডারেশনের সভাপতি মসিহউদ্দিন শাকের *** এ সরকারের শাসনামলেই জুলাই গণহত্যার বিচার হবে: আসিফ নজরুল *** আগামী বছরের হজের রোডম্যাপ প্রকাশ সৌদি আরবের *** ৩৫ শতাংশ শুল্ক নিয়ে তৃতীয় দফায় আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ *** পাকিস্তানে ইমরান খানের দলের ভাগ্য নির্ধারণ ৯০ দিন পর! *** গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের অবদানকে যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি: আলী রীয়াজ *** দেশে বড় ধরনের সহিংস অপরাধের সংখ্যা বাড়েনি, দাবি প্রেস উইংয়ের

শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৪২ অপরাহ্ন, ৩রা আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবির এক দফা ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সঙ্গে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠনেরও দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (৩রা আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, এক দফা দাবিতে রোববার (৪ঠা আগস্ট) সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ শুরু হবে।

এই সমন্বয়ক বলেন, ‘কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনের দাবিতে আমরা বাংলাদেশের ছাত্র-তরুণরা সারাদেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। আমাদের ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের হায়েনারা আমাদের বোনদের নির্মমভাবে পিটিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও দমন-পীড়নের কাজে লাগিয়ে সারদেশে ছাত্রদের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। যার প্রতিবাদে আমরা সারাদেশে শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছিলাম। সেই কর্মসূচিতে সারা বাংলার ছাত্রদের সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষক, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের নাগরিক আমাদের নিরাপত্তার দিতে কর্মসূচিতে যোগ দেন।’

‘কিন্তু আমরা দেখেছি, সরকার শাটডাউন কর্মসূচিতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন শুরু করেছিল। পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নামিয়ে কারফিউ জারি করা হয়। সেই রাতে আমরা কারফিউ ভাঙার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই ঘোষণা কোনো মিডিয়ায় প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। তারপরও ছাত্রজনতার প্রতিরোধ থামেনি।’ বলেন নাহিদ।

তিনি বলেন, ‘১৯শে জুলাই আমাদের সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। আমাদের জবরদস্তি করে আন্দোলন প্রত্যাহার ও সরকারের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব দেয়। আমাদের হাসপাতালে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সেটিও না পেরে আমাদের ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে জোর করে আমাদের দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ানো হয়েছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের বক্তব্য বিশ্বাস না করে রাজপথ দখলে রেখেছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সমন্বয়কদের অনশনের কারণে সেই পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, খুনের হিসাবটা পর্যন্ত আমরা পাইনি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বলেন, ‘এই সরকার মানুষ খুন করেছে এবং লাশও গুম করেছে। যারা খুন করেছে তারা কীভাবে সেই খুনের বিচার করবে? আমরা এই সরকারের কাছে খুনের বিচার প্রত্যাশা করি না। সর্বস্তরের মানুষকে খুন, গুম ও গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হচ্ছে। একদিকে গ্রেফতার নির্যাতন করা হচ্ছে, অন্যদিকে আমাদের সংলাপের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাংলাদেশের জনগণ নেমে এসেছিল। আমরা এই জনগণকে মুক্ত করতে এখন রাস্তায় নেমেছি। আমরা আজ এক দফার দাবিতে এখানে হাজির হয়েছি। আমরা জীবনের নিরাপত্তা, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এক দফার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। সরকার এখন বলছে আলোচনার জন্য গণভবনের দরজা খোলা রয়েছে।’

ওআ/কেবি

সরকার শহীদ মিনার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন