ছবি: সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক হওয়া বাংলাদেশের অবশিষ্ট ২৫ জন নাগরিকের মুক্তির বিষয়ে কূটনৈতিক ও আইনি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে ১৮৮ জন বন্দী মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে, ‘খুব শিগগিরই’ বাকি ২৫ জনও দেশে ফিরতে পারবেন। আজ বৃহস্পতিবার (৯ই অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শেফায়েত হোসেন বলেন, ‘আটককৃতদের মুক্তির জন্য কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, খুব দ্রুতই তারা দেশে ফিরতে পারবেন।’
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের ২২শে এপ্রিল আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তির জন্য কার্যক্রম শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি তালিকা পাঠিয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়।
এরপর গত মে মাসে আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।
বৈঠকে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে আগে মুক্তি পাওয়া ১৮৮ জন বাংলাদেশির উদাহরণ টেনে বর্তমানে আটক ২৫ জনের মুক্তির আহ্বান জানান।
এরপরও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় গত ১লা জুলাই দূতাবাস থেকে নতুন নোট ভারবালের মাধ্যমে বন্দীদের বিষয়ে কনস্যুলার অ্যাকসেস চাওয়া হয়।
একই সঙ্গে ৮ই জুলাই আমিরাতের আইন সংস্থা হামদান আল কাবি ল ফার্মকে নিযুক্ত করা হয় বন্দীদের মুক্তির আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য।
ল ফার্ম জানায়, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্টেট সিকিউরিটি আইনে মামলা থাকায় মুক্তির প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হলেও তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং অগ্রগতি বিষয়ে দূতাবাসকে নিয়মিত অবহিত করছে।
এদিকে গত ৭ই আগস্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুধাবিতে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠকে ২৫ জন বন্দীর বিস্তারিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি হস্তান্তর করেন।
বন্দীদের মুক্তি ত্বরান্বিত করতে গত ২১শে সেপ্টেম্বর আমিরাতের ন্যায়বিচারমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন সুলতান বিন আওয়াদ আল নুয়াইমির কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধপত্র পাঠান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২শে সেপ্টেম্বর আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৫ জন বন্দীর পাসপোর্ট কপি ও ভিসা নম্বর চেয়ে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
দূতাবাস দ্রুততার সঙ্গে সবার তথ্য সংগ্রহ করে ৩০শে সেপ্টেম্বর নোট ভারবাল আকারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
খবরটি শেয়ার করুন