সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

শেষ হয়েছে ২৮তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) আসর। এবারের আসরে প্রায় ৩৫ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩৯১ দশমিক ৮২ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে; যা গত বছরের তলনায় ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। এই আসরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় হয়েছে। যা গত বছরের বিক্রির থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। 

মঙ্গলবার (২০শে ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানেটি আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে ২০শে জানুয়ারি থেকে এই মেলা শুরু হয়েছিল। মেলার শেষ দিন উপলক্ষে আয়োজকেরা এক সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। 

আরও পড়ুন: দেশের সব নাগরিককে বীমার আওতায় আনার পরিকল্পনা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। 

মেলার শেষ দিনে বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন অফার চললেও ক্রেতাদের চাপ তুলনামূলক কম লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ছিল, শেষ দিনে সকাল থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকবে। তবে তার বিপরীত চিত্র লক্ষ্য করা গেছে মেলা প্রাঙ্গণে। ক্রেতাদের চাপ কম থাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।

দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে বাণিজ্য মেলা আয়োজিত হয়ে আসছে। 

ইপিবির (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) পক্ষ থেকে জানায়, এবারের মেলায় মোট ৩০৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করছে। মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ৫টি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। দেশগুলো হলো, ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর। এবারের বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ছিল ৩৫১টি। যা বিগত বছরে ছিল ৩৩১টি। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুটি হলে (এ ও বি) ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।  

আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম কমলো

সেন্টারের প্রধান ফটকের পূর্বপাশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি। হলের পেছনে ফরেন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন এবং প্রিমিয়ার ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৫৩টি।  

সেন্টারের মূল কম্পাউন্ডের বাইরে ৬ একর জমির একাংশে ফুড জোনে ৩২টি রেস্তোরাঁ ও মিনি রেস্তোরাঁ) এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি।

এসকে/ 

বাণিজ্য মেলা পণ্য বিক্রি

খবরটি শেয়ার করুন