ছবি: সংগৃহীত
চাকরির জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ভাইভা বা ইন্টারভিউ। একজন প্রার্থীর যোগ্যতা, উপস্থিত বুদ্ধি, বিচক্ষণতা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা যাচাই করা হয় এর মাধ্যমে। এককথায় বলা যায় প্রার্থীর দক্ষতা যাচাইয়ের মাধ্যম এটি। ভাইভার এই স্বল্প সময়ে কীভাবে নিজেকে প্রদর্শন করছেন তার উপরও নির্ভর করে চাকরি হবে কিনা।
একজন কর্মীর শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি আচার আচরণ, পরিচ্ছন্নতা, চিন্তা-ভাবনা, পোশাক এবং চরিত্র ইত্যাদিও কর্তৃপক্ষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক চাকরির ভাইভার পোশাক কেমন হওয়া উচিত-
চাকরির ইন্টারভিউতে অবশ্যই ফরমাল ও মানানসই পোশাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষরা সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট এবং কালো সুজ পরতে পারেন। জুতার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি স্টাইলিশ না হয়। নারীরা শাড়ি পরতে পারেন। শাড়ি সঙ্গে ম্যাচ করে ফুল স্লিভ বা থ্রি কোয়ার্টার হাতার ব্লাউজ পরা উত্তম।
কোন রঙের পোশাক পরবেন?
চাকরির ইন্টারভিউতে সাদা, গাঢ় ধূসর, গাঢ় নীল, কালো বা বাদামী রঙের পোশাক পরুন। এক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই পোশাক নির্বাচন করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
যেসব পোশাক পরবেন না
ভাইভাতে জিন্স, টি-শার্ট, ফতুয়া কিংবা অতিরিক্ত ঝাঁকজমক পূর্ণ পোশাক এড়িয়ে চলুন। স্লিভলেস ব্লাউজ বা গাউন জাতীয় পোশাক পরবেন না।
কেমন জুতা পরবেন?
ছেলেরা কালো সুজ পরতে পারেন। জুতা যেন খুব বেশি স্টাইলিশ না হয়। সুজ অবশ্যই রাবার সোল্ড হতে হবে। কারণ এমন জুতা পরে হাঁটার সময় শব্দ হয় না। অবশ্যই কালো মোজা পরবেন। নারীরা শাড়ি বা সেলোয়ার কামিজের সঙ্গে মানানসই জুতা পরুন। তবে বেশি হাই হিলের জুতা না পরাই ভালো।
আরো পড়ুন: নিয়োগ দেবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
যেসব রঙের পোশাক পরবেন না
চাকরির ইন্টারভিউতে খুব বেশি উজ্জ্বল যেমন- লাল, কমলা, ম্যাজেন্টা রঙের পোশাক না পরাই উত্তম।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
সাজগোজের ক্ষেত্রে পুরুষের জন্য চুল ছোট এবং পরিপাটির বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মেকআপ না করাই উত্তম। চাকরির ইন্টারভিউতে যতটা সম্ভব সজীব, পরিচ্ছন্ন এবং স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন।
সাক্ষাৎকার দিতে যাওয়ার অন্তত একদিন আগেই পোশাক, জুতা সব গুছিয়ে রাখুন। এতে শেষ সময়ে তাড়াহুড়া হবে না। জুতার সঙ্গে মিল রেখে বেল্ট পরুন। ভাইভাতে অবশ্যই ফুল হাতার শার্ট পরুন।
এসি/