রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিয়া ও ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে, চলছে ধারাবাহিক বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৫২ অপরাহ্ন, ২৮শে মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন ও সংঘাত নিরসনে সরাসরি যোগাযোগ শুরু করেছে সিরিয়া ও ইসরায়েল। গত কয়েক সপ্তাহে একাধিকবার মুখোমুখি বৈঠক করেছেন দু'পক্ষের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স জানিয়েছে, পাঁচটি সূত্রের দুটি সিরিয়া, দুটি পশ্চিমা এবং একটি আঞ্চলিক গোয়েন্দা সূত্র।

সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনায় সিরিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিরাপত্তাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আহমেদ আল দালাতি। গত বছর ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরায়েলের দখলকৃত গোলান মালভূমির সীমানাঘেঁষা কুনেইত্রা প্রদেশের গভর্নরের দায়িত্ব পালান করছেন তিনি। 

চলতি সপ্তাহেই দ্রুজ জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত প্রদেশ স্বেইদার গভর্নরের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাকে। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এখবারিয়াতে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনায় আমি অংশ নিচ্ছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিরিয়া ও সিরিয়ার জনগণকে নিরাপদ রাখতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সিরীয় নেতৃত্ব বদ্ধপরিকর। তা নিশ্চিতে আইনগতভাবে যা যা করা দরকার, তা আমরা করব।’

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কারা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, অংশগ্রহণকারীরা যে দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা—সেটি নিশ্চিত করেছে দুটি সূত্র।

তিনটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার মুখোমুখি আলোচনা করেছে দু'পক্ষ। এসব আলোচনার বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিছু আলোচনা হয়েছে ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলেও।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইসরায়েল ও সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রয়টার্স। তবে কেউ সাড়া দেয়নি। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা। সংযুক্ত আরব আমিরাত সেই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে বলেও জানানো হয়।

১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল ছয়দিনের যুদ্ধের পর থেকে সিরিয়ার গোলান মালভূমি ইসরায়েলের দখলে রয়েছে। এমনকি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখলের আগেই গোলান দখল করেছিল ইসরায়েল। গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর উদ্ভূত বিশৃঙ্খলার সুযোগে অঞ্চলটির আরও নতুন অংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ইসরায়েল। 

শুধু তাই নয় সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে সামরিক স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি সিরিয়া যাতে খুব বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে না পারে এবং বিকেন্দ্রীভূত থাকে—তা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটনকে চাপ দিতে শুরু করে তেলআবিব। সিরিয়ায় লাগাতার বোমাবর্ষণের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক নিন্দা কুড়িয়েছে ইসরায়েল।

এইচ.এস/

ইসরায়েল-সিরিয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন