শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৯ নম্বর, সহজেই সমাধান করা যাবে: পাকিস্তান-আফগান যুদ্ধ প্রসঙ্গে ট্রাম্প *** ৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা *** ত্রিপুরায় পিটুনিতে নিহত তিন বাংলাদেশিকে ‘চোরাকারবারি’ বলল ভারত *** জাতীয়ভাবে লালন উৎসব উদযাপন অব্যাহত থাকবে: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী *** নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসার প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে রাজি বিএনপি *** জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি *** হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট *** আন্দোলনের অগ্রদূতদের অংশগ্রহণ ছাড়া জুলাই সনদ অর্থহীন: মঈন খান *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা: মির্জা ফখরুল

কৃত্রিম দাঁত লাগাতে হবে না, নতুন দাঁত গজাবে

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩২ অপরাহ্ন, ২৮শে এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো পরীক্ষাগারে সফলভাবে মানব দাঁত গজিয়ে তোলার দাবি করেছেন লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা। তারা এমন একটি উপাদান আবিষ্কার করেছেন, যা কোষের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে। এর ফলে একটি কোষ আরেক কোষকে দাঁত কোষে রূপান্তরিত হওয়ার নির্দেশ বা সংকেত পাঠাতে পারে। আর এভাবে দাঁত গঠনের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে।

আমেরিকাভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী এসিএস ম্যাক্রো লেটারসে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা জানান, মানুষের দাঁত পুনরায় গজানোর একটি সম্ভাব্য উপায় উদ্ভাবন করেছেন। প্রচলিত ফিলিং বা ইমপ্লান্টের বিকল্প হিসেবে এ প্রাকৃতিক পদ্ধতি ভবিষ্যতের দাঁতের চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

অর্থাৎ, এটি দাঁত গঠনের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে অনুকরণ করে, যে সক্ষমতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ হারিয়ে ফেলে। খবর ফিউচারিজমের।

এক বিবৃতিতে ব্রিটেনের কিংস কলেজ লন্ডনের পিএইচডি গবেষক ও গবেষণার সহলেখক শুচেন ঝাং বলেন, ‘আমরা ইমপেরিয়াল কলেজের সঙ্গে যৌথভাবে এমন একটি উপাদান তৈরি করেছি, যা মানবদেহে কোষের চারপাশের ম্যাট্রিক্স নামের অঞ্চলের অনুকরণ করে। এর ফলে যখন আমরা পরীক্ষাগারে প্রস্তুত কোষগুলো এ উপাদানে স্থাপন করি, তখন তারা একে অপরকে সংকেত পাঠাতে পারে এবং দাঁত গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ঝাং আরও বলেন, ‘আগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। কারণ, তখন সব সংকেত একসঙ্গে পাঠানো হতো। তবে আমাদের তৈরি নতুন উপাদানটি ধীরে ধীরে সংকেত ছাড়ে, যা শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মতোই কাজ করে।’

গবেষকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, গবেষণাগারের এ আবিষ্কারকে বাস্তব চিকিৎসা পদ্ধতিতে রূপ দিতে এখনো কয়েক বছর সময় লাগবে।

শুচেন ঝাং আরও বলেন, ‘আমাদের দাঁত বসানোর বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা চাইলে দাঁতের প্রাথমিক কোষগুলো সরাসরি ফাঁকা জায়গায় প্রতিস্থাপন করে সেখানে দাঁত গজাতে দিতে পারি। আবার, সম্পূর্ণ দাঁতটি ল্যাবে তৈরি করে সেটি রোগীর মুখে বসানোর কথাও ভাবছি।’

মানুষের ওপর এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে এখনো সময় লাগবে ঠিকই, তবে তাত্ত্বিকভাবে এটি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি। যেমন— ফিলিং ও ইমপ্লান্টের তুলনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা দিতে পারে।

শুচেন ঝাং বলেন, ‘দাঁতের ফিলিং আদর্শ সমাধান নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি দাঁতের কাঠামো দুর্বল করে, স্থায়িত্ব কম হয় এবং ভবিষ্যতে আবার ক্ষয় বা সংবেদনশীলতা তৈরি করতে পারে।’

এইচ.এস/

গবেষণা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250