বুধবার, ১৬ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩১শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি ইন্দোনেশিয়ার, নতুন শুল্ক ১৯ শতাংশ *** পাকিস্তানে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিলেন ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী রেহাম *** বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু করেছে মালয়েশিয়া *** আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে *** সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটা ভাঙা নিয়ে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ চাইলেন মমতা *** এত শিক্ষার্থীর জীবন হুমকিতে ফেললেন, সন্তানদের মুখ মনে পড়ল না—বাশারকে আদালত *** শিঙাড়া-জিলাপির জন্য সিগারেটের মতো সতর্কবার্তা দেখাবে ভারত *** নিজেকে মোটা ভাবা এক ধরনের মানসিক রোগ! *** তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার *** নিবন্ধন যাচাইয়ে এনসিপিসহ ১৪৪ দলই ফেল, সুযোগ পাচ্ছে সবাই

যে দাবিতে থাইল্যান্ডের জনগণ রাজপথে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১০ অপরাহ্ন, ২৯শে জুন ২০২৫

#

বিক্ষোভে উত্তাল ব্যাংকক। ছবি: এএফপি

প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল থাইল্যান্ড। গতকাল শনিবার (২৮শে জুন) রাতেও রাজধানী ব্যাংককসহ দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে সিনাওয়াত্রাবিরোধী বিক্ষোভে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ।

সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাই প্রধানমন্ত্রীর একটি ফোনালাপ ফাঁসের পর ক্ষুব্ধ হয়ে পেতংতার্নের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন দেশটির নাগরিকরা। ২০২৩ সালে ফিউ থাই পার্টি ক্ষমতায় আসার পর এটিকেই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ বলা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

গত মাসে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিতর্কিত এক সীমান্ত অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আর তা নিয়েই কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন থাই প্রধানমন্ত্রী। ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব শেষ হলেও এখনো কম্বোডিয়ার রাজনীতিতে বেশ প্রভাব রয়েছে হুন সেনের।

ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপে হুন সেনকে ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করেন সিনাওয়াত্রা। হুন সেনকে অনুরোধ করেন যেন তিনি থাইল্যান্ডের ‘অন্য পক্ষের’ কথা না শোনেন। অন্য পক্ষ বলতে সিনাওয়াত্রা থাই সেনাবাহিনীর এক জেনারেলকে বুঝিয়েছিলেন। ওই জেনারেল নিজেকে আকর্ষণীয় বা সাহসী দেখানোর চেষ্টা করছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

গত মাসে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় যে এলাকায়, ওই এলাকার দায়িত্বে ছিলেন ওই জেনারেল। ওই সংঘর্ষে কম্বোডিয়ার এক সেনা নিহত হন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, এ ঘটনার জেরেই হুন সেনের সঙ্গে সিনাওয়াত্রার ফোনালাপ হয়।

যে জেনারেলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, সেই জেনারেল তার সমালোচক হিসেবেও পরিচিত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ওই জেনারেল সম্ভবত থাই সামরিক বাহিনীর সেই অংশেরও প্রতিনিধিত্ব করেন, যারা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ও তার পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে অপছন্দ করেন। অতীতে এ সেনাপ্রধান থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টা বা প্রচার চালিয়েছেন।

ক্ষুব্ধ থাই জনগণের অভিযোগ—ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপে হুন সেনের প্রতি অতিমাত্রায় নমনীয় আচরণ করেছে পেতংতার্ন। তাদের ভাষ্য—প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রভাবশালী বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। ক্রমেই পেতংতার্নের পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হচ্ছে।

থাইল্যান্ড

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন