ছবি: সংগৃহীত
ইউরোপে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। আগামী জুন মাসের মধ্যে ইউরোপে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে। গত ৩রা এপ্রিল পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ইউরোপে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা নিয়ে আলোচনা হয়।
ছয়টি খাতে জার্মানি, ইতালি, গ্রিস ও রোমানিয়াতে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী পাঠানোর রোডম্যাপের কাজ গুছিয়ে এনেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, এর বাস্তবায়ন শুরু হবে জুন থেকেই। মূলত ইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিকের জন্য দুয়ার খুলছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম ঘোষণা করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। যেখানে বলা হয়, ২৭ দেশের এই জোট দক্ষ কর্মী নেবে মোট ৭টি দেশ থেকে। তালিকায় আছে বাংলাদেশও।
এই প্রকল্পের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার অধীনে তৈরি করা ডাটাবেজের উপর ভিত্তি করে সাত দেশকে চাহিদাপত্র দেবে ইইউ সদরদপ্তর। এই কর্মসূচিতে যারা কাজে যাবেন মেয়াদ শেষে ফিরতে হবে দেশে। অগ্রাধিকার পাবে তথ্যপ্রযুক্তি, কেয়ারগিভিং, নির্মাণশিল্প, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি, কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত, জাহাজ নির্মাণ ও তৈরি পোশাকশিল্প।
আরো পড়ুন: বিলম্ব ট্রেনগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে : মহাপরিচালক
বাংলাদেশ কিভাবে এই সুযোগের সর্বোচ্চটা কাজ লাগাতে পারে তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি হওয়া আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তৈরি করা হয়েছে রোড ম্যাপও। দক্ষ কর্মী পাঠানোর সামর্থ্য অর্জনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ইউরোর আর্থিক সহায়তা দিবে তারা।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ২২শে জুনের মধ্যে আমরা রোডম্যাপ ফাইনাল করবো এবং ইমপ্লিমেন্টেশনে যাব। এটা এক ধরণের পাইলট প্রকল্প। সুতরাং অন্যান্য যে ইউরোপিয়ান দেশগুলো আছে তারাও কিন্তু আগ্রহী হবে। ওয়েলডিংয়ের খুব ডিমান্ড রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ট্যালেন্টহান্ট প্রকল্পের মাধ্যমে যেতে আগ্রহী শ্রমিকদের দেওয়া হবে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রাথমিক ধারণা।
এসি/