শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ত্রিপুরায় পিটুনিতে নিহত তিন বাংলাদেশিকে ‘চোরাকারবারি’ বলল ভারত *** জাতীয়ভাবে লালন উৎসব উদযাপন অব্যাহত থাকবে: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী *** নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসার প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে রাজি বিএনপি *** জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি *** হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট *** আন্দোলনের অগ্রদূতদের অংশগ্রহণ ছাড়া জুলাই সনদ অর্থহীন: মঈন খান *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা: মির্জা ফখরুল *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে জাতির সঙ্গে গাদ্দারি হবে: তাহের *** জুলাই যোদ্ধাদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস

একে একে আট বিয়ে, নয়বারের বেলায় গ্রেপ্তার ‘কনে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, ২রা আগস্ট ২০২৫

#

পুলিশের সন্দেহ অভিযুক্ত সামিরা গত ১৫ বছরে অনেক পুরুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রবাদ আছে, ‘চোরের দশ দিন গেরস্তের একদিন।’ ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। স্থানীয় পুলিশ এক ‘লুটেরা দুলহান’কে (প্রতারক কনে) গ্রেপ্তার করেছে। যার বিরুদ্ধে এক-দুজন নয়, আটজন পুরুষকে বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খবর এনডিটিভির।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তের নাম সামিরা ফাতেমা। সামিরা শিক্ষিত এবং পেশায় একজন শিক্ষক। তাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তিনি তার ৯ নম্বর শিকারের (হবু স্বামী) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই প্রতারক কনে তার স্বামীদের নানাভাবে ব্ল্যাকমেল করতেন এবং তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। পুলিশ এ ব্যাপারে একটি মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে।

প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গেছে, সামিরা ফাতেমা একটি চক্রের সঙ্গে কাজ করতেন। পুলিশের ধারণা, গত ১৫ বছরে সামিরা অনেক পুরুষকে ঠকিয়েছেন; বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধনী এবং বিবাহিত পুরুষদের তিনি টার্গেট করতেন।

সামিরার একজন স্বামী অভিযোগ করেছেন, ‘সে একজনের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা এবং আরেকজনের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নগদ ও ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে। এমনকি রিজার্ভ ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সে একই কাজ করেছে।’

তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, সামিরা তার শিকারদের খুঁজে বের করতেন এবং তাদের ফাঁদে ফেলতে ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক ব্যবহার করতেন। তিনি প্রথমে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করতেন। তারপর নিজের জীবন সম্পর্কে মনগড়া দুঃখের গল্প শোনাতেন।

ধীরে ধীরে নিজেকে অসহায়, তালাকপ্রাপ্ত ও একটি সন্তানের মা হিসেবে পরিচয় দিয়ে অর্জন করতেন সহানুভূতি ও বিশ্বাস। এরপর বিয়ে করে স্বামীর অর্থ-সম্পদ নিয়ে কেটে পড়তেন। কখনো কখনো সাবেক স্বামীদের নানাভাবে ব্ল্যাকমেল করেও হাতিয়ে নিতেন বিপুল অর্থ। এর আগে একবার সামিরা নিজেকে গর্ভবতী দাবি করে গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে গত ২৯শে জুলাই নাগপুরের একটি চায়ের দোকানে এক হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন এই ‘লুটেরা দুলহান’।

জে.এস/

প্রতারনা বিয়ের নামে প্রতারণা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250