ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় বোরো ধানের ৬৪, ৫৩ জাতের ধান চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। ৩৩ শতাংশে ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৩৩ মণ। ফলে হাসি ফুটেছে জেলার চাষিদের মুখে। অতীতে চাষ করা যে কোনো ধানের চেয়ে হেক্টরে ২ টনেরও বেশি উৎপাদন হচ্ছে নতুন জাতের ধান।
গ্রামবাংলার প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে এখন বোরোকেন্দ্রিক ব্যস্ততা। পাকা ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই, শুকানো, সিদ্ধ করা, ঘরে তোলাসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষাণ-কিষাণিরা।
তবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় কয়েক বছর পর পরই চাষিদের বদলাতে হয় ধানের জাত। লবণাক্ত আবহাওয়ায় নানা রকম রোগে আক্রান্ত হয় এ জেলার ধান। এবার কৃষকদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত হয়ে এসেছে পাতা পোড়া রোগ প্রতিরোধী বোরো ধানের জাত-৬৪, ৫৩।
দেবহাটা উপজেলা সদরের ধান চাষি আকরাম গাজী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রড মিনিকেট জাতের ধান চাষ করি। এবার ৬৪, ৫৩ জাতের ধানের ফলন দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামীতে নিজ জমিতে এই ধান চাষ করবো।’
আরো পড়ুন: বাঁশ ফুলের বীজ থেকে তৈরি হচ্ছে খাওয়ার উপযোগী চাল
কৃষিবিদ মো. মানছুর রহমান জানান, উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় এ ধানের জীবনকাল ১৪০ দিন থেকে ১৪৫ দিন। রোগ প্রতিরোধী অধিক ফলন সম্পন্ন হওয়ায় অন্য ধানের চেয়ে এই ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকেরা। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলন পাওয়ায় কৃষক যেন আবার সেই অতীতের সুদিন ফিরে পেয়েছে।
দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন, ‘আগামীতে নতুন জাতের এই ধান জেলার অনেক চাষি চাষ করবেন। উচ্চ ফলনশীল রোগমুক্ত এই ধান চাষে এ অঞ্চলের মানুষ অতীতের তুলনায় বেশি লাভবান হবে। এ ছাড়া নতুন জাতের এই ধান ছড়িয়ে দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভূমিকা রাখবে। আগামীতে এই ধান এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে প্রশান্তির হাসি ফোটাবে।’
এসি/ আই.কে.জে