ছবি : সংগৃহীত
ইংল্যান্ডের এক ব্যক্তি বিচ্ছেদের জন্য আইফোনকে দায়ী করে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিচ্ছেদের কারণে আইন অনুযায়ী, সদ্য সাবেক স্ত্রীকে ৫০ লাখ পাউন্ডের বেশি অর্থ দিতে হয়েছে তাকে। এই অর্থের পুরোটাই অ্যাপলের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মামলাকারী রিচার্ড (ছদ্মনাম) একজন ব্রিটিশ মধ্যবয়সী ব্যবসায়ী। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মেসেজ ডিলিটের বিষয়ে আইফোনের পক্ষ থেকে তাকে স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি। ফলে পুরোনো কিছু মেসেজের কারণে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছে এবং মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হয়েছে।
কয়েক বছর আগে ‘আই মেসেজ’ ব্যবহার করে বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীর সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে দেখা করেছিলেন রিচার্ড। সাক্ষাতের পর যৌনকর্মীদের সঙ্গে হওয়া কথোপকথনগুলো ডিলিট করে দিতেন। ভেবেছিলেন মেসেজগুলো ডিলিট করে দেওয়ায় কোনো প্রমাণ থাকবে না। কিন্তু ঘটনা হয়েছে উল্টো।
আরো পড়ুন : ৬ মাসের ব্যবধানে জন্ম নিল 'যমজ সন্তান'!
সম্প্রতি রিচার্ডের স্ত্রী তাদের পারিবারিক আইম্যাকে প্রবেশ করে হিস্ট্রিতে ডিলিট করে দেওয়া মেসেজগুলো দেখতে পান। মেসেজ পড়ে সবকিছু জানতে পারেন তিনি। এক মাসের মধ্যেই বিচ্ছেদের আবেদন করেন স্ত্রী। রিচার্ডের ভাষ্য, এ ঘটনার পর তাঁর জীবনে নরক নেমে আসে।
টাইমসকে রিচার্ড জানান, ঘটনাটি তার জীবনে মারাত্মক পরিণতি নিয়ে এসেছে। বেশ কয়েকবার তার প্যানিক অ্যাটাকের পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিয়েছিল। তার স্ত্রীও বড় আঘাত পেয়েছেন। আর আর্থিক ক্ষতি তো হয়েছেই।
রিচার্ডের অভিযোগ, ‘আই মেসেজ’ দিয়ে অন্য কোনো আইফোনে মেসেজ পাঠালে অ্যাক্সেস থাকা পরিবারের অন্যান্য অ্যাপল ডিভাইস দিয়ে যে এটি দেখা সম্ভব হয়, সেই বিষয়টি ব্যবহারকারীদের কাছে পরিষ্কার করেনি প্রযুক্তি কোম্পানিটি। এর খেসারত দিতে হয়েছে তার মতো অনেককে।
লন্ডনের ‘রোজেনব্লাট’ নামের একটি ল ফার্মের মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন রিচার্ড। অ্যাপলের কাছ থেকে শুধু বিচ্ছেদের অর্থই নয়, এর সঙ্গে মামলাসংক্রান্ত কাজের আইনি খরচও দাবি করেছেন তিনি। তবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এস/ আই.কে.জে