ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। আজ শনিবার (১৯শে এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৮ই এপ্রিল) সন্ধ্যায় কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আইন বাতিলসহ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সমতা আদায়ে বিভিন্ন সুপারিশ আমাদের প্রতিবেদনে রয়েছে। আমরা আশা করছি, সেগুলোর বাস্তবায়ন হবে।’
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, প্রতিবেদনে সম্পদ-সম্পত্তি, সন্তানের অভিভাবকত্ব, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেওয়ার সুপারিশ রয়েছে।
জাতীয় সংসদে ৬০০ আসন রেখে সেখান থেকে ৩০০ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত করা, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধানের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের নিচে) মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার সুযোগ বন্ধ এবং নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করার সুপারিশও প্রতিবেদনে রয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটি পর্যায়ের কমিটিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব ন্যূনতম ৪০ শতাংশ করার সুপারিশও প্রতিবেদনে রয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের একটি হচ্ছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে গত ১৮ই নভেম্বর এ কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
প্রজ্ঞাপনে ব্যারিস্টার সারা হোসেনের নাম থাকলেও তিনি কমিশনে যোগ দেননি। কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়াতে বলা হয়েছিল, কমিশন অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। অন্যান্য সংস্কার কমিশনের সঙ্গে এ কমিশনের মেয়াদও একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন