বৃহস্পতিবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কিশোরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক লাক্স সুন্দরী *** ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ‘বর্ণবাদের দুর্গন্ধ’ *** আগামীকাল সকালে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন জোবাইদা রহমান *** তেলের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের ‘কারণ দর্শানোর’ নোটিশ দিয়ে বৈঠকে ডেকেছে সরকার *** ৭ দিন নীরবতার পর ইমরানের টুইট, ভেঙে দিলেন দলের রাজনৈতিক কমিটি *** তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে দৃশ্যমান দ্বিধা ও অদৃশ্য বাধা *** আরও ৩৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা *** খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন ১৪ জন, থাকবেন পুত্রবধূ শামিলা, ছয় চিকিৎসক *** অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ, আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায় বহাল *** দেশে আসছেন জোবাইদা রহমান, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি

বয়স ১৬ না হলে ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খোলা নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:০৫ অপরাহ্ন, ৩০শে জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য ইউটিউব অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এক্স ও স্ন্যাপচ্যাটের মতোই নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্মের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ইউটিউবও। ইতিপূর্বে ইউটিউবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিলেও অস্ট্রেলিয়ার সরকার তার অবস্থানে অটল রয়েছে।

আজ বুধবার (৩০শে জুলাই) ব্রিটেন-ভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, আগামী ১০ই ডিসেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে গৃহীত এক আইনের আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, ১৬ বছরের কম বয়সীরা নির্দিষ্ট কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে তারা ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারবে, কিন্তু কোনো অ্যাকাউন্ট খুলতে বা ভিডিও আপলোড কিংবা কোনো মন্তব্য করতে পারবে না।

এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার ‘ই-সেফটি কমিশনার’ জুলি ইনম্যান গ্রান্ট। শিশুদের অনলাইন ব্যবহার নিয়ে তার করা এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে—১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ২ হাজার ৬০০ শিশুর মধ্যে ৪০ শতাংশই জানিয়েছে, তারা ইউটিউবে ক্ষতিকর কনটেন্টের সম্মুখীন হয়েছে। এতে নারীবিদ্বেষমূলক বক্তব্য, সহিংস ভিডিও এবং খাওয়ার ব্যাধি উসকে দেওয়া কনটেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই প্রতিবেদনে ইউটিউবই সবচেয়ে বেশি অনলাইন ক্ষতির জন্য দায়ী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

এদিকে অ্যালফাবেট দাবি করেছে—ইউটিউব একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নয় এবং এটি শিশুদের জন্য উপকারী। ইউটিউব টিভি স্ক্রিনে দেখা যায় এমন উচ্চমানের ভিডিও কনটেন্ট সরবরাহ করে এবং এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৭৫ শতাংশ শিশু ইউটিউব ব্যবহার করে।

তবে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটা সামাজিক দায়িত্ব আছে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য এসবের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণেই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।’

জে.এস/

অস্ট্রেলিয়া ইউটিউব

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250