ছবি: সংগৃহীত
সুপার ফোরে যাওয়ার জন্য ১০১ রান হলেই চলত শ্রীলঙ্কার। তাতে ম্যাচ হারলেও তাদের ‘আসে-যায়’-এর কিছু ছিল না। কিন্তু টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্য যখন শিরোপা ধরে রাখা, তখন আফগানদের কাছে হারলে চলে!
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৮ই সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশকে নিয়েই এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার এই জয়ে সুপার ফোরে জায়গা হয়েছে বাংলাদেশেরও।
আফগানদের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২২ রানে পাতুম নিশাঙ্কা (৬) ও ৪৭ রানে কামিল মিশ্রকে (৪) হারিয়ে ফেলেছিল লঙ্কানরা। উইকেটে এরপর জুটি বাঁধেন দুই কুশল—মেন্ডিস ও পেরেরা। ৩৬ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ২০ বলে ২৮ রান করে কুশল পেরেরা আউট হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি।
তবে ওপেনার কুশল মেন্ডিস এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন। ৪০ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ৫২ বলের ইনিংসটিতে আছে ১০টি চার। ষষ্ঠ উইকেটে ২৩ বলে ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সহজ জয়ে ভূমিকা রেখেছেন কামিন্দু মেন্ডিস। ১৩ বলে ২৬ রান করেছেন তিনি।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে আফগানিস্তান। আফগান ইনিংসের এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল তারা দেড় শ রানও করতে পারবে কিনা সন্দেশ। কিন্তু শেষ ওভারে মোহাম্মদ নবির ছক্কা বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত দেড় শ ছাড়িয়ে জয়ের জন্য ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জ দেন আফগানরা।
ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি আফগানদের। পঞ্চম ওভারে শেষের আগেই ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেন তারা। তিনটি উইকেটই নেন নুয়ার তুষারা।
রহমতউল্লাহ গুরবাজ (১৪), করিম জানাত (১) ও সেদিকুল্লাহ আতালকে (১৮) হারিয়ে বিপাকেই পড়েন আফগানরা। এ অবস্থায় বড় কোনো জুটিও গড়ে উঠেনি। ইব্রাহিম জাদরান ও দারউইশ রাসুলি থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও শ্রীলঙ্কার মিতব্যয়ী বোলিংয়ের সামনে চাপে পড়ে যান তারা।
সেই সুযোগে দাসুন শানাকা দুই ওভার বল করে দেন মাত্র ৮ রানে। আফগানিস্তানের জন্য সবচেয়ে হতাশার ছিল টানা ডট বল খেলতে থাকা। ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তাই ৬৩ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
এরপর কুশল পেরেরা বাউন্ডারি লাইন থেকে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরান রাসুলিকে (৯)। ইব্রাহিমের (২৪) দর্শনীয় আরেক ক্যাচ নেন দুশমন্ত চামিরা। এর মাঝে অবশ্য শানাকার বলে বোল্ড হন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। পরপর তিন ওভারে ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান; স্কোর ৭৯ /৬।
এ সময়ই মনে হচ্ছিল, আফগানদের ইনিংস হয়তো দেড় শই হবে না। কিন্তু শেষ দিকে রান তোলার মন্থর গতিকে দ্রুততর করেন মোহম্মদ নবি। ২২ বলে ৬০ রান করেন তিনি। ৩টি চার ৬টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট—১৭২.৭২! বল হাতে সবচেয়ে সফল নুয়ান তুষারা। ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
খবরটি শেয়ার করুন