শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের মিঠা, এখন তিতা! মালদ্বীপের একি অবস্থা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৪০ অপরাহ্ন, ২৪শে মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

চীনকে খুশি রাখতে গিয়ে ‘ইন্ডিয়া বয়কট’ নীতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন  মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। তার কথায় আর কাজে যে তফাৎ নেই, তা বোঝাতে গিয়ে ইতোমধ্যেই ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ ছাড়ার সময় বেঁধে দিয়েছেন। একইসঙ্গে আবার চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষাসহ সমন্বিত লেনদেনে করেছেন সমঝোতাও। মাঝখানে আবার মালদ্বীপ যেভাবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অপমান করেছিলেন, তার পেছনে মুইজ্জুর হাত ছিলো বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। 

সেনা সরিয়ে নেয়ার সময় বেঁধে দেওয়া মুইজ্জু অবশেষে সেই ভারতের কাছেই হাত পাততে বাধ্য হলেন। ২০২৩ সাল এর হিসাব অনুযায়ী ভারতের কাছে তাদের ঋণ ৪০ কোটি ডলারেরও বেশি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। মুইজ্জুর আবেদন, তার পূর্ববর্তী সরকার ভারতের কাছ থেকে যে ঋণ নিয়েছিল, তা যেন মওকুফ করে দেন নরেন্দ্র মোদীর সরকার। 

ইতোমধ্যে অবশ্য ভারত-বিরোধিতার ফল ভোগ করা শুরু করে দিয়েছে দেশটি। পর্যটনেও মন্দা অবস্থা, কোষাগারেরও বাজে অবস্থা এবং এই কারণেই সুর নরম করতে বাধ্য হলেন মুইজ্জু। এমনকি, ভারতকেই তাদের দেশের পরম বন্ধু রাষ্ট্র বলে দাবি করলেন মালদ্বীপের ‘চীনভক্ত’ প্রেসিডেন্ট।

আরও পড়ুন: প্যালেস্টাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার স্বীকৃতি দিলো ৪ ইউরোপীয় দেশ

গেলো বছরের নভেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন মুইজ্জু। উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার আগে তার ভারত বিরোধিতার প্রচারণা ছিল দেখবার মতো! ক্ষমতায় বসার পর আসল খেলা দেখাতে শুরু করেন মুইজ্জু। প্রথমে মার্চের মাঝামাঝি এবং পরে ১০শে মে’র মধ্যে ভারতকে সেনা সরানোর জন্য সময় বেঁধে দেন; ইতোমধ্যে ৮৮ জন সেনার একটি দলকে ভারত ফিরিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।  

কিন্তু ক্ষমতায় আসার চার মাস পর মালদ্বীপের সরকারী এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুইজ্জুকে ভারতের গুণগান করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘ভারত বরাবরই মালদ্বীপের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রে অনেক  উন্নয়নমূলক প্রকল্প করেছে ভারত এবং ভবিষ্যতেও এই সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আর সেই সূত্রেই নয়াদিল্লির কাছে ঋণ মওকুফের আবেদন জানান মুইজ্জু।’

ধারণা করা হচ্ছে, দেরিতে হলেও চীনের আসল চেহারা বোধহয় মুইজ্জু বুঝতে পেরেছেন। লোকেমুখে এখন প্রশ্ন- এরইমধ্যে কি চীনের মিঠা তিতা লাগতে শুরু করলো মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর? 

এসকে/  আই.কে.জে

ভারত মালদ্বীপ

খবরটি শেয়ার করুন