রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি *** তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকারে ৮০ ভাগ নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া *** ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তপশিল: সিইসি *** ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এনসিপি *** চীন সরকারের ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান, শীর্ষস্থানীয় ৯ জেনারেল বরখাস্ত *** ঢাকামুখী ৮ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রাম ও কলকাতায় *** জুলাই সনদে কাল স্বাক্ষর করবে গণফোরাম *** যারা বলেন এবার ‘জামায়াতের শাসন দেখি’, তাদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আনু মুহাম্মদ *** ‘রক্ত দিতে হলে সামনের সারিতে, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যাবে না’ *** ‘দোসর’ বলার জন্য বিএনপির সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে হবে: নাহিদ

সাবেক সেনাসদস্য হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, ৮ই অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাসদস্য হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ই অক্টোবর) রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌরসভার দুর্গাপুর মহল্লার ইসাহাক আলী (৬৫), মো. হাসান (৫২), মনি খাতুন (২৬), মুক্তা খাতুন (৩২), জাহিদ হাসান (২২), নাহিদ হাসান (২৫), দামকুড়া গ্রামের আবুল হাসনাত (৪০), আবদুল হালিম (২৮) ও সেরাজুল ইসলাম মিয়া (৩০)।

এদের মধ্যে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর একজনকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি অন্য একটি ধারায় আরও তিন বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু গণমাধ্যমকে জানান, নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলতাফ হোসেন (৫৮) কাঁকনহাট পৌরসভার দুর্গাপুর মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই ইসহাক আলীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে ২০২৩ সালের ৩রা মে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসেছিলেন কাঁকনহাট পৌরসভার তৎকালীন মেয়র।

আরও পড়ুন: চার মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন

কিন্তু তিনি মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। সেদিন পৌরসভা কার্যালয় থেকে সবাই চলে আসার পর ইসহাক আলী তার ছেলে, মেয়ে ও ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আলতাফ হোসেনের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় আলতাফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।

পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ই মে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। পরে পুলিশ দশজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

তিনি আরও জানান, মামলার দশ আসামির মধ্যে একজন আগেই মারা গেছেন। অন্য নয়জনকে সাজা দিলেন আদালত। এ মামলায় আদালতে তার সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তারা দুজনেই মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এসি/কেবি

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250