ছবি - সংগৃহীত
ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে আগামী এক সপ্তাহব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত অন্যান্য সকল ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, একতা ও সংহতির বার্তা নিয়ে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দল নিয়ে আগামী ১ সপ্তাহ সকল ক্যাম্পাসে গিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী একতার বার্তা পৌঁছানো হবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ‘মাইনর’ বা ‘সংখ্যালঘু’ শব্দগুলো ব্যবহার করতে চাই না। তারা আমাদের ভাই। কমিউনিটি অ্যাওয়ারনেস তৈরির জন্য সংখ্যালঘু ভাইদের কাছে যাওয়া হবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন আওয়ামী লীগ করেছে বলে মন্তব্য করেন হাসনাত।
তিনি আরও বলেন– আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই পুনর্বাসিত হবে না, এ বিষয়ে সব ছাত্র সংগঠন একমত হয়েছে। গত তিন নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা এবং প্রশাসন থেকে আওয়ামী নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও অন্তবর্তী সরকারের কাছে দাবি তোলা হয় ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, ঢাবি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এসএম ফরহাদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের সভাপতি জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, ইসলামী শাসনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সেক্রেটারি নাজমুল হাসান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, সেক্রেটারি সৈকত আরিফ প্রমুখ।
আই.কে.জে/