ছবি: সংগৃহীত
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় একযুগ আগে কিশোর হাসান (১৭) হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা অনাদায়ে আরও ২ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ই নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) শামীমুল ইসলাম শামীম।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর আখিয়াপুকুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী আকন্দের ছেলে শামীম, একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে একরামুল হক মণ্ডল ও বিনধারা গ্রামের ফারুক চৌধুরীর ছেলে মাখন চৌধুরী ওরফে আজমির চৌধুরী। রায়ের সময় তারা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২০১১ সালের ৯ই নভেম্বর সকাল ১০টায় পাঁচবিবির রশিদপুর গ্রামে আসামিরা কিশোর হাসানকে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পায় হাসান। এরপর ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে আসামিরা পুনরায় হত্যা চেষ্টা করলে হাসান দৌড়ে ধানক্ষেতে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। সেখান থেকে হাসানকে খুঁজে বের করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর হাসানের গলায় প্যান্ট পেঁচিয়ে ঘরের তিরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরের দিন ১০ই নভেম্বর সকাল ৬টায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই ঘটনায় পাঁচবিবি থানা হত্যা মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে নিহতের বোন মুনিরা বেগম বাদী হয়ে ২০১২ সালের ৮ই জানুয়ারি জয়পুরহাট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: মাছের উৎপাদন বাড়াতে প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ করবে সরকার
এ মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচবিবি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল ২০১৩ সালের ৩০শে জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আফজাল হোসেন বলেন, এই মামলার সাক্ষী সেভাবে ছিল না। কয়েকবার রায়ের তারিখ দেওয়ার পর আজ বিচারক রায় দিয়েছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
এসি/কেবি