ছবি: সংগৃহীত
সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের স্বজনদের অবশেষে সুখবর দিলো সরকার ও মালিকপক্ষ। আশা করা হচ্ছে, ঈদের ১০-১৫ দিনের মধ্যেই হয়তো জিম্মিদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ শনিবার (৬ই এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে মুক্তি দিতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি নানামুখী চাপও অব্যাহত রাখা হয়েছে। জলদস্যুদের সঙ্গে যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি, খুব শিগিগিরই জিম্মি নাবিকদেরকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।’
সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে জিম্মি নাবিকদেরকে ঠিক কবে নাগাদ মুক্ত করা সম্ভব হবে, সে ব্যাপারে খানিকটা ইঙ্গিত মিলেছে বাংলাদেশ নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদের কথায়। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ঈদের পর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে উদ্ধার করা হবে।’
আরো পড়ুন: পবিত্র শবে কদরে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল মুসল্লিরা
এদিকে হাইজ্যাক হওয়া জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিমও গণমাধ্যমকে বলেছেন, খুব শিগগির সুখবর আসছে। দস্যুদের সঙ্গে চূড়ান্ত সমঝোতার ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় বাকি আছে। তবে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। চূড়ান্ত ধাপের আলোচনা চলছে। এই মূহুর্তে এর বাইরে আর কিছু জানাতে চাননি তিনি।
নাবিকদের স্বার্থরক্ষাকারী সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা গণমাধ্যমকে বলছেন, জলদস্যুদের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনা হয় দুই ধাপে। প্রথম ধাপে মুক্তিপণ ও তা নিয়ে দর-কষাকষি হয়। কখন, কোন মাধ্যমে মুক্তিপণ পরিশোধ করা হবে, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয় এই ধাপে। দ্বিতীয় ধাপে উভয়পক্ষের বিশ্বাসযোগ্য জায়গায় ও নির্ধারিত পন্থায় মুক্তিপণ পরিশোধের মাধ্যমে জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করে আনার কাজ হবে।
ঈদের পরই জিম্মি নাবিকরা জন্মভূমিতে ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘জিম্মি মুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে ঈদের পরই আসল কাজটা সম্পন্ন হবে; ঈদের আগে নয়।’
উল্লেখ্য, গত ১২ই মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে হাইজ্যাক করে সোমালীয় দস্যুরা।
এইচআ/ আই.কে.জে