ছবি : সংগৃহীত
ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ই মে শেষ হওয়া তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান। এ সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান আগে ব্যাট করে হেরেছিল ৫ উইকেটে।
ফখর জামানের দাবি, সেই হারের পর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান দলের মানসিকতা আরও আক্রমণাত্মক হয়েছে; যদিও পরের দুটি ম্যাচে পাকিস্তান পরে ব্যাটিং করেছে জিতেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এ সংস্করণে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৪ ম্যাচের সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। লিডসের হেডিংলিতে গত বুধবার(২২শে মে) প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছে। বার্মিংহামের এজবাস্টনে আজ শনিবার (২৫শে মে) সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের নতুন এই মানসিকতা চলতি সিরিজ এমনকি আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আগে তুলনামূলক কম শক্তির নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে পাকিস্তান। চলতি বছর ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ৫ ম্যাচে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান তুলেছে ১৫৮, ১৩৪, ১৭৮, ১৭৮ ও ১৮২। এর মধ্যে তিন ম্যাচেই হেরেছে পাকিস্তান। সমালোচনা হয়েছে টপ অর্ডারের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে। বিশেষ করে অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়েছে বেশি।
আরো পড়ুন : ফিফার জরিমানা নিয়ে যা বলছেন সালাম মুর্শেদী
সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার (২৪শে মে) ফখর জামান এ নিয়ে বলেছেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর মানসিকতা পাল্টেছে, শরীরী ভাষাও পাল্টেছে। কেউ হারতে পছন্দ করে না। কিন্তু প্রথম ম্যাচের পর আমরা যে মানসিকতা ধারণ করেছি, সেটি ধরে রাখতে পারলে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি দলকে দেখবেন।’
ফখর এরপর স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘প্রতিটি ম্যাচের পরই আমরা বৈঠক করি। আর এখন আমাদের যে মানসিকতা, সেটি হলো, আগে ব্যাটিংয়ে নামলে দুই শ থেকে দুই শর বেশি রান করা। আমি এই মানসিকতার কথাই বলছি, যেটা নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি...আমাদের ব্যাটিং নিয়ে তো অনেক কথাই হয়; যদিও বোলিং বিশ্বমানের। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, সেটা হলো ব্যাটিং নিয়ে এখন যে মানসিকতা (দলের), আমাদের দুই শর বেশি রানের লক্ষ্যে খেলতে দেখবেন। সেই চেষ্টাটা দেখবেন।’
ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে প্রধান কোচ হিসাবে পাকিস্তান দলে যোগ দিয়েছেন সাবেক প্রোটিয়া ওপেনার গ্যারি কারস্টেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর খুব বেশি দেরি নেই। ২ জুন (বাংলাদেশ সময়) শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কারস্টেন কোচ হিসাবে বিশ্বকাপে কতটা প্রভাব রাখতে পারবেন, সেই প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, নিজের মতো করে দলকে প্রস্তুত করার তেমন একটা সময় পাননি তিনি।
কারস্টেনকে নিয়ে ফখর বলেছেন, ‘খুব বেশি কোচ পাল্টানো হচ্ছে। যদিও গ্যারি দারুণ মানুষ। তিনি নতুন এলেও তাঁকে তেমন (অপ্রস্তুত) লাগছে না। কারণ, আসার দিন থেকেই তিনি নিজেকে দলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। তিনি সবার সঙ্গেই কথা বলতে ভালোবাসেন। আমাদের গল্পগুলো শুনতে চান। আমরা কীভাবে ক্রিকেট খেলি এবং আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চান। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে আমরা মুখিয়ে আছি।’
বিশ্বকাপ ও নিজের ব্যাটিং নিয়ে ফখর বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ ঘনিয়ে এসেছে। এই মুহূর্তে তাই আমি (ব্যাটিং নিয়ে) কারও কথাই শুনব না। টুর্নামেন্ট খুব কাছাকাছি থাকতে কোনো কিছু পাল্টানো সহজ নয়। তাই আমি যেভাবে খেলি, সেভাবেই খেলে যাব এবং পরে (বিশ্বকাপের পর) তাঁর সঙ্গে কাজ করব।’
এস/ আই.কে.জে/