ছবি: সংগৃহীত
কিংস কাপের সেমিফাইনালেই হ্যাটট্রিকটা পেতে পারতেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু পেনাল্টিতে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার মোক্ষম সুযোগ পাওয়ার পরও সেটা কাজে লাগালেন না। সতীর্থ সাদিও মানেকে স্পটকিক নেওয়ার সুযোগ দিয়ে উদারতার পরিচয় দিলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী।
নিজে হ্যাটট্রিক করতে অবশ্য খুব বেশি সময় নিলেন না রোনালদো। সর্বশেষ ম্যাচে উদারতার পরিচয় দেওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই ‘পারফেক্ট’ এক হ্যাটট্রিক পেলেন তিনি। দুই পায়ে এবং হেডে গোল করাকে পারফেক্ট হ্যাটট্রিক বলা হয় ফুটবলে। বলা যায়, হ্যাটট্রিককে একরকম অভ্যাসে পরিণত করেছেন আল নাসরের এই অধিনায়ক। সবশেষ খেলা ৭ ম্যাচে তৃতীয় হ্যাটট্রিক পেয়েছেন তিনি। এবারে মৌসুমে চতুর্থ হ্যাটট্রিক তার।
সব মিলিয়ে রোনালদোর ক্যারিয়ারের ৬৬ তম হ্যাটট্রিক এটি। ম্যাচে যেভাবে গোল করে যাচ্ছেন পর্তুগাল তারকা তাতে কে বলবে ৩৯ বছর বয়স হয়েছে তার। মাঠের পারফরম্যান্স যেন জানান দিচ্ছেন তারুণ্যে ভরপুর সেই রোনালদো। গতকালের হ্যাটট্রিকে গোলের ফিফটিও পূর্ণ করেছেন তিনি। এ মৌসুমে সব মিলিয়ে ৫২ গোল করেছেন ‘সিআর সেভেন’। ম্যাচ খেলেছেন সমান ৫২ টি।
আরও পড়ুন: এবার বাজারে ‘হালাল’ পানীয় আনছেন মেসি
রোনালদোর হ্যাটট্রিকে গতকাল ৬-০ ব্যবধানে প্রতিপক্ষ আল ওয়েহদাকে উড়িয়ে দিয়েছে আল নাসর। দলের হয়ে বাকি তিনটি গোল করেছেন ওতাভিও, সাদিও মানে এবং মোহাম্মদ আল-ফাতিল। গোল উৎসবের শুরুটা রোনালদোই করেন। ৫ ও ১২ মিনিটে পর্তুগিজ তারকার দুই গোলের পর প্রথমার্ধে দলকে আরও দুটি গোল এনে দেন ওতাভিও এবং মানে। ১৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক মুনির মোহাম্মদীর মাথার উপর দিয়ে আলতো করে ভলি করে বল জালে জড়িয়ে দেন রোনালদোর স্বদেশি ওতাভিও।
বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে ৪৫ মিনিটে গোল করেন মানে। আর ম্যাচের ৮৮ মিনিটে আল ওয়েহদার বুকে শেষ পেরেক ঢুকে দেন বদলি নামা আল-ফাতিল। ম্যাচ শেষে সামাজিক মাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন রোনালদো। লিখেছেন, ‘দারুণ অনুভূতি। ধন্যবাদ সতীর্থ এবং সমর্থকদের।’
সূত্র: গোল ডট কম
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন