ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের এক বিতর্কিত রায়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিলুপ্ত হলো। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বিষয়ে দেওয়া রায়টি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বড় জয়। শুধু তাই নয়, আমেরিকার বিচারব্যবস্থা ও নির্বাহী শাখার ভারসাম্যে যুগান্তকারী পরিবর্তনের বার্তাও দিল এ রায়।
ছয় রক্ষণশীল বিচারপতির সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেওয়া রায়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ও বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেটের এ রায়ের মাধ্যমে কার্যত লাগামহীন ক্ষমতার পথে ট্রাম্পকে একধাপ এগিয়ে দিল সর্বোচ্চ আদালত। খবর রয়টার্সের।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেছিলেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। আর বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেট প্রশ্ন তুলেছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসন আদৌ আদালতের আদেশ মানবে কী না। কিন্তু তাদের উদ্বেগ যে ক্ষণস্থায়ী, তা প্রমাণ করতে বড় ভূমিকা রাখলেন সর্বোচ্চ আদালতের দুই বিচারপতি।
ব্যারেটকে দিয়ে গত শুক্রবার (২৭শে জুন) রবার্টস এমন এক রায় দেন, যা প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার ওপর গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সরিয়ে দিল— হোক তা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের উদ্যোগ বা ফেডারেল সরকার ও ব্যক্তি অধিকারের ওপর প্রভাব ফেলতে চাওয়া নীতির বাস্তবায়ন।
সুপ্রিম কোর্টের হোয়াইট মার্বল ভবনে নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এ রায় হয়। ব্যারেটের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মত এবং বিচারপতি সোনিয়া সোটোমেয়রের ভিন্নমতের বক্তব্য— এ দুইয়ের দ্বন্দ্ব আদালতের ভেতরেই প্রতিফলিত হয়। এ রায়ে আরও একটি প্রবণতা স্পষ্ট হয়— ছয় বিচারপতির রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের এজেন্ডার সঙ্গে একমত।
খবরটি শেয়ার করুন