ছবি: সংগৃহীত
১১ বছর আগে (১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২) আজকের দিনে না ফেরার দেশে চলে যান অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী। গত ১০ বছরে তাকে দর্শকরা তো স্মরণ করেছেই, পদে পদে অনুভব করেছেন প্রয়াত অভিনেতার সহশিল্পীরা।অভিনয় করতে গিয়ে আটকে গেলে বা দ্বিধায় পড়লে এখনও বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীরা হুমায়ুন ফরীদির অভিনয় থেকে প্রেরণা নেন। ওই দাপুটে অভিনেতার শুরুটা মঞ্চে।
প্রতি বছর ১৩ই ফেব্রুয়ারি সবাই ফাল্গুনের উৎসবে মেতে থাকলেও তাঁর ভক্তদের মনে একটা শূন্যতা ঠিকই নাড়া দেয়। আজ তাঁর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী।
শক্তিমান একজন অভিনেতা ছিলেন হুমায়ুন ফরিদী। নিজের চরিত্রকে এতো অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলতেন যে দর্শকরাও হারিয়ে যেতেন সেই অভিনয়ের মায়া জালে। দাপটের সঙ্গে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও ইতিবাচক চরিত্রেও তার অভিনয় ছিল অতুলনীয়। শুধু সিনেমা নয়, টেলিভিশন নাটক এবং মঞ্চেও তাঁর অভিনয় দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতেন দর্শকরা।
আরো পড়ুন: খোলামেলা গাউনে উত্তাপ ছড়ালেন রুনা খান
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বাংলাদেশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধে যোগ দেন তিনিও। যুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি তাঁর পড়াশুনা সম্পন্ন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়ার সময়ে তিনি সেলিম আল দীন সহচার্যে আসেন। সেলিম আল দ্বীনের ‘শকুন্তলা’ নাটকের তক্ষক চরিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৮২ সালে তিনি ‘নীল নকশার সন্ধানে’ নাটকে অভিনয় করেন। এটি ছিল তাঁর প্রথম টেলিভিশন নাটক। এরপর, একে একে অভিনয় করেছেন ‘ভাঙ্গনের শব্দ শোনা যায়’, ‘সংশপ্তক’, ‘দুই ভাই’, ‘শীতের পাখি’ এবং ‘কোথাও কেউ নেই’- এর মত দর্শকপ্রিয় নাটকে।
‘হুলিয়া’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামলছায়া’, ‘একাত্তরের যিশু’, ‘আনন্দ অশ্রু’-সহ অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাঁর সর্বশেষ সিনেমা ‘মেহেরজান’। ২০১১ সালে নির্মিত এই সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন জয়া বচ্চনের সঙ্গে।
এসি/