ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
বিসিএস পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানার মামলায় বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ গ্রেফতার হওয়া ১৭ আসামির মধ্যে সাতজন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ই জুলাই) ঢাকার পৃথক সাতটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন— সৈয়দ আবেদ আলী (৫২), মো. খলিলুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম (৪১), মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলেমান মো. সোহেল (৩৫), মো. সাখাওয়াত হোসেন (৩৪), সায়েম হোসেন ও লিটন সরকার।
এর আগে, দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
এছাড়া এই মামলায় গ্রেফতার গাড়িচালক আবেদের ছেলে সোহানুর রহমান সিয়ামসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন— পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান।
প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ১৭ আসামির মধ্যে সাতজনের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করা হয়েছে। এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা। দুপুর আড়াইটার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারকের খাস কামরায় তোলা হয়।
একই তদন্ত কর্মকর্তা অপর আসামিদের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার (৮ই জুলাই) রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপপরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে পিএসসির গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে। এরপর প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওআ/
খবরটি শেয়ার করুন