ছবি: সংগৃহীত
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আদালতে তার সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ডে নেওয়ার পর তার সব অপকর্ম তদন্ত করে বের করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২রা মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটি মামলা হয়েছে। তার সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ডে আসার পর তার যে অপকর্মগুলো রয়েছে সবগুলো তদন্ত করে বের করা হবে।
হারুন অর রশীদ বলেন, কেউ মারা গেলে মরদেহ দাফনের পর চিকিৎসা ও সিটি করপোরেশনের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে মৃত সনদ দিতেন মিল্টন। সেই সিলগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আরো দুজন ব্যক্তি থানায় রয়েছে মামলা করার জন্য। মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা রুজু হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে তার স্ত্রীকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর যদি কেউ তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে তাহলে তার স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হবে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো সে অস্বীকার করতে পারেনি।
আরো পড়ুন: মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মৃত্যু সনদ জালিয়াতির মামলা
এর আগে বুধবার (১লা মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।
এসি/ আই.কে.জে/