ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটে কোনো একক দল সরকার গঠনের সমান সংখ্যক আসনে জয়ী না হলেও সবচেয়ে বেশি ৯২ আসন পেয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই পিটিআইসহ বেশ কয়েকটি দল অভিযোগ করে আসছে ‘ফলে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে’।
এবার এই অভিযোগ স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন একজন নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচনে কারচুপির দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চট্টা।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, তার উপর আত্মহত্যা করার চাপ ছিল। তবুও তিনি জনসাধারণের সামনে বিষয়গুলো উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
লিয়াকত আলী বলেন, সমস্ত আমলাতন্ত্রের কাছে আমার অনুরোধ এই সমস্ত রাজনীতিবিদদের জন্য কোনো ভুল করবেন না।
এর আগে কারচুপি করে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি করেন সিন্ধ প্রদেশের এক জামায়াত নেতা। তিনি নির্বাচনে আসল জয়ী পিটিআই প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
পাকিস্তানে সম্প্রতি জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জামায়াতে ইসলামি (জেআই) করাচির প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রহমানকে জয়ী ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটের তথ্যে তিনি দেখতে পান যে, তাকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিজয়ী হয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। এরপরই তিনি তার আসন পিটিআই প্রার্থীর কাছে ফিরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ইমরানের নির্দেশে বিরোধীদলের আসনে বসতে যাচ্ছে পিটিআই
খবরে বলা হয়, হাফিজ নাঈম-উর-রহমান ঘোষণা করেছেন, তিনি কথিত কারচুপির জন্য প্রাদেশিক পরিষদের আসনটি পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ছেড়ে দিয়েছেন।
এদিকে পিটিআই দাবি করেছে যে, তাদের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অন্তত ১৭৭টি আসনের জয়লাভ করেছে। কিন্তু কারচুপি করে তাদেরকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে শনিবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভ করেছে পিটিআই।
পাকিস্তানের সাধারণ নিবার্চনে এক কোনো দল নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনে জয়লাভ না করায় জোট সরকার গড়তে হবে। নির্বাচনের কয়েকদিন পরও এখনও দেশটিতে সরকার গঠনের কোনো স্পষ্ট সমাধান মেলেনি।
সূত্র: ডন
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন