ছবি: সুখবর
সাউথ কোরিয়া বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে স্মার্ট আইল্যান্ড প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ নিযুক্ত সাউথ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক মঙ্গলবার (৫ই মার্চ) সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সাউথ কোরিয়ার গিগা আইল্যান্ডের আদলে দুর্গম দ্বীপে স্মার্ট আইল্যান্ডে বিনিয়োগের এ আগ্রহের কথা জানান।
সাক্ষাতকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিশেষ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি সেক্টরের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও সাউথ কোরিয়া বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী সাউথ কোরিয়া। বিগত দিনগুলোতে বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে। আগামী দিন গুলোতে এ সম্পর্ক আমরা আরো এগিয়ে নিতে চাই। জ্ঞান বিনিময়, উদ্ভাবন, স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠা, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে যৌথভাবে কাজ করার আরো সুযোগ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরিকল্পনায় গত ১৫ বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ২১ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ‘কিশোর গ্যাং’কে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ
তিনি বলেন, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনিয়োগের অতি আকর্ষণীয় খাতে পরিণত হয়েছে। সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভ জনক একটি দেশ।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগ বান্ধব নীতির এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে অধিকতর বিনিয়োগে বিশেষ করে স্মার্ট ডাক সেবা, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য ভূমিকা গ্রহণে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আইসিটি বিষয়ে বাংলাদেশ কোরিয়া সামিট অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাউথ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, গত এক দশক আগের বাংলাদেশ এবং আজকের বাংলাদেশ অভাবনীয়।
এসকে/ এএম/
খবরটি শেয়ার করুন