প্রতীকী ছবি
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি ভাইরাল হয়ে কেউ বনে যায় সেলিব্রেটি, কেউ হন বিজ্ঞাপনের তারকা। এবার রাতারাতি এই ভাইরালের তালিকায় এবার নাম লিখিয়েছে দুবাই চকলেট। যা কিনতে মানুষ রাস্তায় অপেক্ষা করছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে। এটি কিনলে চকলেটের সাথে আপনাকে ডিগ্রি ছাড়াই দেওয়া হবে একটি সার্টিফিকেট। আর তাই শুধু খাওয়ার জন্য নয়, এই চকলেট সংগ্রহ করার জন্য চলছে প্রতিযোগিতা! কিন্তু কি এমন তার বিশেষত্ব যার এক পিস কিনতে এতো লম্বা লাইন?
এই চকলেটের নাম দুবাই চকলেট। আর তা নিয়ে তোলপাড় চলছে জার্মানিতে। বিশেষ এই চকলেট তৈরি হয়েছে পিস্তাচিও আর ‘কাদাইফ’ দিয়ে, যা দুবাইয়ের মিষ্টি সংস্কৃতিকে ধারণ করে। ‘কাদাইফ’ হলো এক ধরনের মিষ্টি উপাদান, যা চকলেটের মচমচেও মজাদার স্বাদ যোগ করে। স্বাদে অনন্য এই চকলেট মেশিনের পরিবর্তে বানানো হয় হাতে, আর এর সঙ্গে থাকে ইউনিক সিরিয়াল নম্বর। এখানে শেষ নয়, রয়েছে আরও চমক।
এই চকলেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে এর বিরলতা। মানে সারা জার্মানির জন্য বানানো হয়েছে মাত্র ১,০০০টি চকলেট। আর এর ফলে চকলেটের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এতো জনপ্রিয় হয়েছে চকলেট যে, কেউ এসেছেন এর স্বাদ নিতে; আবার কেউ এসেছেন এখান থেকে কিনে অনলাইনে বেশি দামে বিক্রি করবেন, এই চিন্তা করে। তবে এর পিস কিনতে হবে ১৫ ইউরোতে, যা বাংলাদেশি প্রায় ১,৮০০ টাকা। এর সাথে একটি ব্যাগ ও একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এই প্যাকেজিং-ও আকৃষ্ট করে অনেক ক্রেতাকে।
একজন ক্রেতা বলেন, এটি খেতে দারুণ! আমি সাধারণত পিস্তাচিও পছন্দ করি, কিন্তু এই চকলেট আমাকে মুগ্ধ করেছে।
১১ই নভেম্বর বার্লিন থেকে শুরু হয়েছিল এই ভাইরাল চকলেটের যাত্রা। এরপর ফ্রাঙ্কফুর্ট আর হামবুর্গে লিন্ডট স্টোরে দেখা যায় ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে চকলেটটি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যা এখন শুধু একটি চকলেট নয়, বরং ট্রেন্ড এ পরিণত হয়েছে।
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন