ছবি: সংগৃহীত
৮ই মে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘থ্যালাসেমিয়ার জন্য সামাজিক ঐক্য গড়ি, রোগীদের অধিকার নিশ্চিত করি’। এ দিবসে দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবকসহ সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। খবর বাসসের।
আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার (৭ই মে) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ৮ই মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তস্বল্পতাজনিত দুরারোগ্য ব্যাধি। বাংলাদেশে এ রোগের বাহকের সংখ্যা অনেক। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই থ্যালাসেমিয়ার জীনবাহক হলে সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বিয়ের পূর্বে নারী-পুরুষ উভয়ই এই রোগের বাহক কিনা তা জেনে নেওয়া জরুরি। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।’
ড. ইউনূস বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সুলভ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্যখাতের টেকসই সংস্কারে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
এদিকে ২০০৮ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৭ শতাংশ থ্যালাসেমিয়ার বাহক আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক জাতীয় থ্যালাসেমিয়া পরিসংখ্যান-২০২৪ অনুযায়ী, থ্যালাসেমিয়ার বাহক ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মানে হলো ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ থ্যালাসেমিয়ার বাহক।
বর্তমানে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। সরকারের উচিত অবিলম্বে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা। বিদ্যমান থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার (মেডিকেল ও নিরাময়) জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা উচিত।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন