ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে খ্রিস্টান ছেলেকে জীবনসঙ্গী করে পাওয়ার ইচ্ছা জানানো এক নারীর চিঠি পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৭ই আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য।
তিন মাস ২৭ দিন পর দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। টাকা গণনার কাজে অংশ নেন মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩৫০ জনের একটি দল। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন এসব তথ্য।
এ সময় দানবাক্সের টাকাগুলোর সঙ্গে বেশ কিছু চিঠিও পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটিতে আফরোজ আক্তার সেজুতি নামের এক মেয়ে এক খ্রিস্টান ছেলেকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চিঠি লিখেছেন।
চিঠিতে লেখা আছে, ‘আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমার নাম আফরোজ আক্তার সেজুতি, আমি একজনকে অনেক ভালোবাসি, সারাদিন তার চিন্তা আমার মাথায় ঘুরে। ওর কথা মনে পড়লে অনেক কান্না আসে। আমি আমার পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারি না। ও আমার ব্যাপারে কিছুই জানে না, আমি ওর ব্যাপারে সব জানি। ও খ্রিস্টান আমি মুসলমান, আমি আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া করি। প্রতিদিন নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বলি যাতে ও মুসলমান হয়ে যায়, আমি চাই ও আমার জন্য হালাল হয়ে যাক। আল্লাহ ওকে আমার জন্য হালাল করে দেন, আমি ওর প্রতি দুর্বল ওকে কিছুতেই ভুলতে পারি না। আমি ওকে ভুলতেও চাই না। আমার অনেক ভয় লাগে, ও যেন অন্য কারো হয়ে না যায়। আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন তকদিরে দিয়ে দোয়া করবেন। আমার সালাম নিবেন।’
কিশোরগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে খোলা হয় দানবাক্সগুলো।
টাকা গণনার কাজে আরও অংশ নিয়েছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজ।
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন