ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ‘মনোনয়নে’ প্রস্তাবের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ‘কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের’ জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাবের জন্য ‘মনোনীত’ করেছে দেশটি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন ও রেডিও পাকিস্তানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারি এক বিবৃতিতে (এক্সে প্রকাশিত) বলা হয়, ‘পাকিস্তান সরকার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করল। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের কারণে পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক উত্তেজনা চরমে ওঠার মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘দূরদর্শী কৌশল ও অসাধারণ রাষ্ট্রনায়কত্ব’ দেখিয়েছেন। ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির সঙ্গে সক্রিয় কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে তিনি দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেন এবং দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে সম্ভাব্য ভয়াবহ সংঘর্ষ রোধ করেন— যা কোটি মানুষের জন্য বিপর্যয় বয়ে আনতে পারত।
গত বৃহস্পতিবার (১৯শে জুন) পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের সঙ্গে দেখা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরপরই দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এলো।
প্রসঙ্গত, গত ২৬শে এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকের ওপর হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী। এতে ২৬ জন নিহত হন। এরপর ৭ই মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। জবাবে পাকিস্তান ওইদিনই ভারতের অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে।
এ ছাড়া দেশটিতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালায়। পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ার শঙ্কা দেওয়ার পর এতে হস্তক্ষেপ করেন ট্রাম্প। তার মধ্যস্থতায় গত ১১ই মে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।
খবরটি শেয়ার করুন