ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার এইচ-১বি ভিসার জন্য বার্ষিক ১ লাখ ডলারের নতুন ফি আরোপ করায় ভারতের প্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক কার্যক্রমে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের শীর্ষ সংগঠন নাসকম। গতকাল শনিবার (২১শে সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ আশঙ্কা প্রকাশ করে সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৯শে সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউস এই নতুন ভিসা ফি ঘোষণা করে। এর পরপরই কিছু বড় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এইচ-১বি ভিসাধারী কর্মীদের আমেরিকায় থেকে যাওয়ার বা দ্রুত ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। আমেরিকার অস্থায়ী কর্মসংস্থানের ভিসা ব্যবস্থায় এটি সবচেয়ে উচ্চ প্রোফাইল সংস্কার পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ভারতের ২৮৩ বিলিয়ন ডলারের আইটি ও বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতকে প্রতিনিধিত্ব করে নাসকম। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এত বড় একটি নীতিগত পরিবর্তন এক দিনের মধ্যে কার্যকর করায় ব্যবসা, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বজুড়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
নাসকমের মতে, এই সিদ্ধান্ত ভারতের নাগরিকদের ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে এবং দেশটির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে চলমান অনসাইট প্রকল্পগুলোর ধারাবাহিকতা নষ্ট করবে।
সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, অতিরিক্ত এই ব্যয়ের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বড় ধরনের সমন্বয় করতে হবে, যা শুধু আমেরিকায় নয় বরং বৈশ্বিক চাকরির বাজার ও উদ্ভাবনব্যবস্থায় ‘রিপল ইফেক্ট’ বা ‘পর্যায়ক্রমিক প্রভাব’ পড়তে পারে।
অভ্যন্তরীণ এক ইমেইলের বরাতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, মাইক্রোসফট, জেপিমর্গান ও আমাজন–এই তিন মার্কিন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান তাদের এইচ-১বি ভিসাধারী কর্মীদের আমেরিকা থেকেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন বিষয়ে কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছেন। এর আওতায় বৈধ অভিবাসনের কয়েকটি ক্ষেত্রও সীমিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন