ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় তৎপর যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। একইসঙ্গে সংস্থাটি সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্যবস্তু করা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ই ডিসেম্বর) সিপিজে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে সিপিজে এশিয়া-প্যাসিফিক প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী কুনাল মজুমদার বলেছেন, ‘একটি ঐতিহাসিক নির্বাচনের কয়েক মাস আগে একজন সাংবাদিককে আটক করার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করা গণতন্ত্রের স্তম্ভ সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকার সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে।'
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে এবং সরকারের সমালোচনামূলক মতামত প্রকাশের জন্য সংবাদমাধ্যমের সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করা বন্ধ করতে হবে।’
গত ১৪ই ডিসেম্বর (রোববার) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তিনি নিজেই মোবাইল ফোনে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধানমণ্ডি এলাকার একটি জিম সেন্টার থেকে ডিবি প্রধান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে তুলে আনা হয়।
পরদিন সকালে জানা যায়, আনিস আলমগীরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে। বিকালে ডিবিপ্রধান ওই মামলায় আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় আনিস আলমগীর ছাড়া আরো ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। জুলাই রেভ্যুলুশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।মামলার অপর আসামিরা হলেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ (উপস্থাপক)।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন