প্রতীকী ছবি
দেশের আকাশে বৃহস্পতিবার (৩০শে জানুয়ারি) ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে শনিবার (১লা ফেব্রুয়ারি) থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ই ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০শে জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শবে বরাত পালিত হয় প্রধানত সৌভাগ্য রজনী হিসেবে। আরবি শাবান মাসের পঞ্চদশ রাতে এটি পালিত হয়। শবে বরাত পালনের বিশেষ তাৎপর্য আছে। ফারসি ভাষায় ‘শব’ শব্দের অর্থ ‘রাত’। আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ ‘সৌভাগ্য’। আরবিতে একে বলে লাইলাতুল বরাত, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রাত। মুসলমানদের ধারণা, এ রাতে পরবর্তী বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ হয়। এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ইবাদত-বন্দেগি এবং আল্লাহর থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করলে গুনাহ মাফ হয় বলে আশা করা হয়।
শবে বরাতের দুই সপ্তাহ পর শুরু হয় রোজা। ফলে শবে বরাতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যায় সিয়াম সাধনার প্রস্তুতিও।
পবিত্র শবে বরাত তাই রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে। রমজান মাস আসার আগেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। রজব-শাবান মাসে বরকত লাভের দোয়া করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে দীর্ঘ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও মাগফেরাত কামনা করতেন।
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন