ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাজেট বিলের কঠোর সমালোচনা করেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিলটিকে জঘন্য ও ঘৃণ্য বলে মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগের কয়েক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার (৩রা জুন) মাস্ক এ বিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন। খবর রয়টার্সের।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তাদের ঘোষিত বাজেট বিলকে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন বলে জানা যায়। আর এর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল মঙ্গলবার ইলন মাস্ক নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ বিল নিয়ে সমালোচনা করেন।
ইলন মাস্ক এক্সে লিখেছেন, ‘আমি দুঃখিত, কিন্তু আমি আর এটা সহ্য করতে পারছি না। কংগ্রেসের এই বিশাল, আপত্তিকর এবং অহেতুক ব্যয়বহুল বিলটি একটি জঘন্য ও ঘৃণ্য বিষয়। যারা এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। আপনারা জানেন, আপনারা ভুল করেছেন।’
এ ছাড়া মাস্ক বিলের বিরোধিতার কারণ সম্পর্কে বলেন, বাজেট বিলটিতে প্রস্তাবিত ব্যয় ও করছাড় আমেরিকার জাতীয় ঋণ আরও বাড়িয়ে দেবে। কংগ্রেস আমেরিকাকে দেউলিয়া করছে বলেও এক পোস্টে তিনি মন্তব্য করেছেন।
অপর এক পোস্টে মাস্ক লেখেন, ‘এটি এরই মধ্যে বিশাল বাজেট ঘাটতিকে আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারে (!!!) উন্নীত করবে এবং আমেরিকান নাগরিকদের ভয়াবহভাবে অসাড় ঋণের বোঝায় ফেলবে।’
এ বাজেট বিল ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রতিষ্ঠিত করছাড়কে প্রসারিত করবে। তবে সমালোচকেরা বলেছেন, এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিলটি জাতীয় ঋণের সীমা ৪ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দেবে। এটি মেডিকেড এবং সাপ্লিমেন্টাল নিউট্রিশন অ্যাসিসটেন্স প্রোগ্রামের মতো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে প্রবেশাধিকারও সীমিত করবে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ‘দেখুন, ইলন মাস্ক এ বিল সম্পর্কে যে অবস্থান নিয়েছিলেন তা প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই জানেন। এটি প্রেসিডেন্টের মতামত পরিবর্তন করবে না। এটি একটি বড়, সুন্দর বিল এবং তিনি এটিতে অটল।’
এ ছাড়া রক্ষণশীল বিশ্লেষকেরা জাতীয় ঋণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। গত ২২শে মে ভোরে আমেরিকান পার্লামেন্টে কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস ২২১৫-২১১৪ ভোটের ব্যবধানে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস করে। যেখানে ৪৩৫ সদস্যের কক্ষে রিপাবলিকানদের ২২০-আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও বেশ কয়েকজন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন অথবা ‘উপস্থিত’ ভোট দিয়েছিলেন।
আরএইচ/