ফাইল ছবি
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ২০২৫ সালের ১২ই নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ মঙ্গলবার (১১ই নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীন অপরাধগুলো আমলে নিতে পারবেন বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
দেশে উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ই সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর পর থেকে এই মেয়াদ দুই মাস করে বাড়িয়ে আসছিল সরকার। এবার বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ২০২৫ সালের ১২ই নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হলো। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে দেশে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনের সময়ও তারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
খবরটি শেয়ার করুন