রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৫ জেলায় নতুন ডিসি *** জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন *** খালেদ মুহিউদ্দীনের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উদ্বেগ কেন? *** প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আমরা যাব, অন্য দলকে দিয়ে আহ্বান কেন: সালাহউদ্দিন *** দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী *** কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান *** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ!

পোস্ট মাস্টারের প্রতারণা

পলকের নির্দেশে ২ লাখ টাকা ফেরত পাচ্ছেন রাজশাহীর পারুল

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০৫ অপরাহ্ন, ২৩শে জুন ২০২৪

#

ফাইল ছবি

রাজশাহীর তানোরে পোস্ট মাস্টারের দ্বারা প্রতারিত হওয়া পারুল বেগমকে তার গচ্ছিত দুই লাখ টাকা ফেরত দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হস্তক্ষেপের পর টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক অধিদপ্তর। 

রোববার (২৩শে জুন) প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে তানোর পোস্ট অফিসে গ্রাহকদের গচ্ছিত টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করণীয় সংক্রান্ত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি  প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিতি ছিলেন। 

জানা গেছে, সম্প্রতি ডাক অধিদপ্তরের অধীন তানোর উপজেলা পোস্ট অফিসে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে টাকা জমা রেখে প্রতারিত হন পারুল বেগম। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে এই বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এতে হস্তক্ষেপ করেন। পরে প্রতিমন্ত্রী ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এই বিষয়ে ডাক অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, পারুল বেগম তানোর উপজেলা ডাকঘরে দুই লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনেছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় মুনাফা লাভের আশায় উপজেলা পোস্ট মাস্টার মোহাম্মদ মোকসেদ আলীর কাছে দুই লাখ টাকা জমা রেখেছিলেন এবং মাসে মাসে যথারীতি আগের মতই মুনাফা নিতেন। 

আরো পড়ুন: দুদকে হাজির হননি বেনজীর

কিন্তু দ্বিতীয়বার দুই লাখ টাকা জমা রাখার সময় তিনি অফিসিয়ালি কোনো সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেননি অথবা পোস্ট অফিসে এফ.ডি.এসবিতে টাকা জমা রাখেননি। পারস্পরিক বিশ্বাসে আর্থিক লেনদেন করেছেন মাত্র। যেহেতু পারস্পরিক বিশ্বাসে টাকা জমা রেখেছেন, সেক্ষেত্রে এর দায় ডাক বিভাগের ওপর বর্তায় না বলেও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

পরে প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট উপজেলা পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন করায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের পর্যালোচনা বৈঠকে তানোর ছাড়াও সারাদেশের সর্বত্র এমন অসঙ্গতিগুলো খুঁজে বের করে প্রতিহত করতে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। একইসঙ্গে সরকারি রশিদ ব্যতীত কেউ যেন কোনো টাকা লেনদেন না করেন, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

পলক গণমাধ্যমকে বলেন, ডাক বিভাগের অল্পসংখ্যক অসৎ কর্মীদের জন্য গোটা ডাক ডাক পরিবারের সদস্যদের সম্মান আমরা নষ্ট করতে চাই না। তাই ডাক পরিবারের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে ডাক বিভাগের গ্রহণযোগ্যতা বহাল থাকতে আমাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে, অসৎ ও অন্যায়কারীদের প্রতিহত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তানোরের পারুল বেগমের কান্না ডাক বিভাগের দায়বদ্ধতার বিষয়। আর কোনো পারুল বেগমের কান্নার কারণ যেন ডাক বিভাগ না হয়, এখনই সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা চাই আমাদের ডাক বিভাগের সেবার মান বৃদ্ধি ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে বাংলাদেশের নাগরিকদের নির্বিঘ্ন সেবা প্রদান করতে এবং গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।

এইচআ/ 

জুনাইদ আহমেদ পলক আত্মসাৎ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250