ছবি: সংগৃহীত
পাহাড়ে সংঘাত এবং নিরাপত্তার জন্য পর্যটক ভ্রমণে প্রশাসনের নিরুৎসাহিত করার ফলে ২০শে সেপ্টেম্বরের পর পর্যটকরা সাজেকমুখী হতে পারেননি। দেড় মাস পর পর্যটকদের জন্য আগামীকাল ৫ই নভেম্বর খুলছে আকর্ষণীয় সাজেক ভ্যালি।
এদিকে রাঙামাটি জেলায় গত ১লা নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ বিধি-নিষেধ তুলে নিলেও সাজেকের অবস্থানগত কারণে খাগড়াছড়ি জেলার সড়ক ব্যবহার করে এই স্পটে যাতায়াতের ফলে মঙ্গলবার (৫ই নভেম্বর) থেকে পর্যটকরা সাজেক যেতে পারবেন। কারণ এদিনই খুলে দেওয়া হচ্ছে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
সাজেক পর্যটকসংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে জানান, সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। এখানে ১৪টির বেশি রেস্তোরাঁ থাকলেও গত দেড় মাস কোনো বিক্রি ছিল না।
আরও পড়ুন: সারদায় প্রশিক্ষণরত আরও ৫৮ এসআইকে অব্যাহতি
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ গণমাধ্যমকে বলেন, দেড় মাসে প্রায় ৮-৯ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। পর্যটকরা আসলে লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবো।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১লা নভেম্বর থেকে রাঙামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে যে বিধি-নিষেধ ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাজেক রাঙামাটি জেলায় হলেও এর অবস্থানগত কারণে এটি খাগড়াছড়ি জেলার ওপর দিয়ে যেতে হয়, যেহেতু খাগড়াছড়িতে ৫ই নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য বিধি-নিষেধ খুলে দেয়া হচ্ছে, তাই পর্যটকরা সাজেকে ভ্রমণ করতে পারবেন। আর নিরাপত্তা নিয়ে কোনও শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।
এসি/কেবি