শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কলকাতায় পাঁচ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড *** নির্বাচনে সহায়তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্রিফ করল জাতিসংঘ *** কাফু–ক্যানিজিয়ার সঙ্গে ঢাকায় নৈশভোজের সুযোগ *** নতুন গণমাধ্যম নীতি নিয়ে আপত্তি, পেন্টাগনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক টাইমসের মামলা *** প্রধান উপদেষ্টাকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ফোন, বন্যায় সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা *** খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্মিত সরকারি ডকুমেন্টারি প্রকাশ *** একটি মানবশিশুকে যেভাবে পাহারা দিলো চারটি কুকুর *** অনিবার্য কারণ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনি মাঠে থাকবে: নজরুল ইসলাম খান *** নিবন্ধন পাচ্ছে ‘আমজনতার দল’, প্রতীকের বিষয়ে যা জানা গেল *** এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হতে পারে, জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন

ইরান নয়, মধ্যপ্রাচ্যের আতঙ্ক এখন লাগামহীন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, ২৬শে জুন ২০২৫

#

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পর অনেক উপসাগরীয় দেশই লাগামহীন নেতানিয়াহুকেই বেশি ভয় পাচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

ইরানে ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর দীর্ঘমেয়াদি টানাপোড়েন তৈরির ঝুঁকি বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে তেল আবিরের ‘মিত্র’ বা বন্ধু ভাবাপন্ন দেশগুলোতে। এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর কর্মকর্তারা।

ইসরায়েল একসময় ইরানের পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে প্রধান নিরাপত্তা গ্যারান্টর হিসেবে বিবেচিত হলেও, এখন ইসরায়েলকেই সবচেয়ে বড় অস্থিরতার উৎস হিসেবে দেখছেন আরব দেশগুলোর অনেকে। তেহরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর পর ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ আরও বেড়েছে। তথ্যসূত্র দ্য টেলিগ্রাফের।

এক আরব কূটনীতিক ইসরায়েলের এ হামলাকে আখ্যা দিয়েছেন ‘অমার্জনীয় বেপরোয়া পদক্ষেপ’ হিসেবে। যদিও কিছু কর্মকর্তা চেয়েছিলেন, ইসরায়েল যেন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। তারপরও উপসাগরীয় অঞ্চলের তিনটি দেশের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলের সামরিক আধিপত্য এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তা ব্যবহারের প্রবণতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরব কর্মকর্তা বলেন, ‘গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও এখন ইরান—সবখানেই তিনি (নেতানিয়াহু) নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণহীন, লাগামছাড়া শক্তি আর আমাদের জন্য সম্পদ নয়। এটি এখন আমাদের জন্য সমস্যা।’

ইসরায়েলের ‘অস্থিতিশীল’ ভূমিকা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে আব্রাহাম অ্যাকর্ডস। এ ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল। 

দশকব্যাপী শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে ইসরায়েলকে আরব বিশ্বের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি ছিল বড় সাফল্য। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অন্যতম বড় কূটনৈতিক অর্জনও ছিল এ চুক্তি।

আমেরিকার কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, সৌদি আরবও শেষ পর্যন্ত এ পথ অনুসরণ করবে। কিন্তু গাজা যুদ্ধের পর রিয়াদের কড়া সমালোচনার কারণে সেই আশায় ভাটা পড়েছে। উপসাগরীয় দেশগুলো এ চুক্তির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল মূলত ইরানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে। তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন ও মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর পৃষ্ঠপোষকতাকে অঞ্চলটির প্রধান হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250