প্রতীকী ছবি
বতর্মানে ইন্টারনেট ছাড়া দুনিয়া অচল। আর সেই ইন্টারনেট ছাড়াই ৫দিন ছিলো গোটা দেশ। কোটাবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ই জুলাই থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিলো। বুধবার (২৪শে জুলাই) স্বল্প পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। তবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা এখনো ব্যাহত আছে।
এর মাঝে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সব মিলিয়ে দেশের সকল মানুষ এক প্রকার ঘরবন্দি জীবন পার করেছে।
অনেকে এ সময় নানাভাবে সময় কাটিয়েছে। কেউ নিজেকে সময় দিয়েছে। কেউ পরিবারকে, কেউবা বই পড়ে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আশিক। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। পাঁচ দিন বাসায় তিনি সময় দিয়েছেন তার পরিবারকে।
তিনি সুখবরকে বলেন, অন্য সময় অফিস বন্ধ থাকলেও ইন্টারনেট থাকে, এখন ইন্টারনেট না থাকায় পরিবারকে সময় দিচ্ছি। আগে ঘরে থাকলেও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা হতো। সেভাবে পরিবারকে সময় দেওয়া হতো না। আর এখন ইন্টারনেট না থাকায় শুধু পরিবারকে সময় দিচ্ছি। এতে করে পারিবারিক বন্ধনটা বাড়ছে।
রাজধানীর বাসাবোর বাসিন্দা জুয়েল। পেশায় একজন চাকরিজীবী। পাশাপাশি লেখালেখি করেন। গত কয়েকদিন সাধারণ ছুটিতে তিনি তার পুরোনো বই পড়ে সময় কাটিয়েছেন।
তিনি সুখবরকে বলেন, এমনি আমি অবসর সময়ে বই পড়ি। তবে মোবাইলে মাঝে মাঝে নিউজ ফিডটা দেখা হয়। এ কয়দিন পুরোনো বই পড়ে সময় কাটিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আগে মানুষ সকালে চায়ে চুমুক দিয়ে দৈনিক পত্রিকা পড়তো। এই মোবাইল ইন্টারনেট আসার পর সবাই পত্রিকা পড়া ভুলে গেছে। আর বইও এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে। তবে কয়েকদিন ইন্টারনেট না থাকায় অনেকের কাগজের পত্রিকা পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে। অনেকে সারাদিন বই পড়ে সময় কাটিয়েছে। আবার ইন্টারনেট সচল হলে হয়তো সবাই পত্রিকা বা বই পড়া ভুলে যাবে।
মিরপুরের গৃহিনী সালমা আক্তার। গত কয়েকদিন বাসার ছাদে তার সবজি বাগানে পরিচর্যা করেছেন।
তিনি সুখবরকে বলেন, সব সময় বাসার কাজে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। একটু সময় পেলে মোবাইল ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখতাম। তবে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় পরিবারকে বেশি সময় দিয়েছি। বিশেষ করে আমার বাড়ির ছাদে সবজি বাগান আছে, সেখানে সময় ব্যয় করেছি।
ওআ/ আই.কে.জে/