ছবি: সংগৃহীত
দেশের সড়ক, রেল ও নৌ—এই তিন খাতের জন্য একটি সমন্বিত পরিবহন মহাপরিকল্পনা (ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান) তৈরি করা হচ্ছে। এর খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হবে।
আজ রোববার (১২ই অক্টোবর) দুপুরে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর)-এর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলওয়ে বিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো কোনো ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান নেই। আলাদা আলাদা সংস্থা তাদের মতো করে পরিকল্পনা তৈরি করে। ফলে সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়। আমরা এখন সড়ক, রেল ও নৌ—এই তিন খাতের জন্য একটি সমন্বিত ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান করছি। এর খসড়া চূড়ান্ত হয়ে গেছে।’
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যানটি চূড়ান্ত করতে আরও ছয়-সাত মাস লাগবে। হয়তো আমাদের মেয়াদে শেষ করা সম্ভব হবে না। তবে আমরা কাজটি এমন অবস্থায় রেখে যেতে চাই, যাতে পরবর্তী সরকার এসে তা বাস্তবায়ন করতে পারে।’
তিনি বলেন, যোগাযোগ খাতের তিনটি মন্ত্রণালয় আলাদা আলাদা হওয়ায় সমন্বয়ের ঘাটতি তৈরি হয়। যদি একটি ছাতার নিচে সব মন্ত্রণালয় থাকত, তাহলে পরিবহনব্যবস্থা আরও কার্যকর হতো। সমন্বয় করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, তাদের সরকারের আমলে এটি আর এগিয়ে নেওয়া হবে না। এখানেই শেষ করা হবে। এটি সাধারণ চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু করা হবে।
একটি রেগুলেটরি অথরিটি ছাড়া রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন শেখ মইনউদ্দিন।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, রেলের আয় গতবারের চেয়ে এবার বেশি হবে। রোলিং স্টকের সংকট আছে। সেগুলো বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সভায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ বলেন, সব মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ চলছে। আগে ভুল সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। বাস্তবে একটি মেট্রোরেল নির্মাণে ছয় থেকে সাত বছর লাগে।
তিনি বলেন, আগের চুক্তিগুলোর অনেক শর্ত শিথিল করা হচ্ছে, যাতে আরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে এবং কোনো একক গোষ্ঠী একচেটিয়া সুবিধা না পায়।
খবরটি শেয়ার করুন