ছবি: সংগৃহীত
মেরে ফেললেও কোনো জিডি করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। আজ সোমবার (২৫শে আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি যে কথা বলছি, ছেলেরা বা ছাত্ররা যদি মনে করেন বা অন্য দলের লোকেরা মনে করেন.., জামায়াত-শিবির, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী লোকজনের বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছি, আমি বলব। এতে যদি কারও অসম্মান হয় বা কাউকে আঘাত করে থাকি, তাহলে তারা এটার রাজনৈতিক (পলিটিক্যালি) জবাব দেবেন। এটার জন্য পরস্পরকে হত্যা করার কোনো যুক্তি নেই। এ নিয়ে আমার বাসার সামনে মব সৃষ্টি করা তো কোনো কারণ হতে পারে না।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে বিএনপি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন ফজলুর রহমান খান। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার মধ্যরাতে তার রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাসার সামনে বিক্ষোভ হয়। পরে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। এ বিষয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন বলে আমি মনে করি।’
বিক্ষোভকারীদের অবস্থান প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমি জানি, তারা এখনো সেখানে আছেন। আমার বাসা থেকে ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসেছে। এটা আমি অস্বীকার করব না। একেবারে ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসেছিল। আমি তাদের কোনো দোষ দিচ্ছি না।’ তবে বাসায় যেতে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন বলেও জানান বিএনপির এ নেতা।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে জানাতে চাই, আমার জীবন বড় শঙ্কায় আছে। আমি আমার জীবন নিয়ে যতটা চিন্তিত, তার চেয়ে আমার পরিবারকে নিয়ে বেশি চিন্তিত। মৃত্যুকে আমি ভয় করি না, তবে অপমৃত্যু আমার কাছে বেশি লজ্জাজনক।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। তবে মেরে ফেললেও কোনো জিডি করব না। ছাত্ররা যদি মনে করে বা ছেলেরা যদি মনে করে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি তাতে অপরাধ হয়েছে, তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক, কারাগারে পাঠিয়ে দিক।’
৫ই আগস্ট মেনে নিতে পারছেন না— এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি এটার কোনো জবাব দেব না।’ সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমানের স্ত্রী ও ছেলে উপস্থিত ছিলেন।
খবরটি শেয়ার করুন