ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় সিনেমা অঙ্গনে পনেরটি বছর পার করলো মধুর ভান্ডারকরের পরিচালনা এবং নীল নীতেন মুকেশ অভিনীত ‘জেল’ সিনেমাটি। নীল প্রখ্যাত গায়ক মুকেশের ছেলে। তার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নিউইয়র্ক’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’, ‘প্লেয়ার্স’সহ আরও অনেক। তবে এরমধ্যে জেল সিনেমায় নীতেন সাহসী নগ্ন একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন। আর এর জন্য পরিবারের কাছে ছোটও হতে হয়েছিল তাকে।
এ নিয়ে নীল সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা ছিল ‘জেল’। যেটি মুক্তির ১৫ বছর পরেও দর্শকদের মধ্যে এখনো আলোচনা সৃষ্টি করে। আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ এই শক্তিশালী গল্পের অংশ হতে পেরে। যা আজও মানুষের মনে দাগ কেটে রেখেছে।’
এরপর তিনি আরও বলেন, ‘জেল এর প্রভাবশালী কাহিনি আজও মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে এবং আমি এই চলচ্চিত্রের জন্য শ্রদ্ধেয় মধুর স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। যিনি আমাকে ‘পারাগ দীক্ষিত’ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দেন।’
আরও পড়ুন: বিচ্ছেদ গুঞ্জনের মাঝেই বড়পর্দায় ফিরছে ঐশ্বরিয়া-অভিষেক জুটি
সর্বশেষ সিনেমাটিতে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করার অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘নগ্ন দৃশ্যটিতে অভিনয় করার জন্য আমাকে বিশেষভাবে পরিচালকের প্রতি গভীর আস্থা রাখার প্রয়োজন হয়েছিল। প্রথমে আমার পরিবার খুব উদ্বিগ্ন ছিল এবং তাদের কাছে আমাকে ছোটও হতে হয়। কিন্তু আমি মধুর ভান্ডারকর স্যারের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম এবং পুরো টিমের পেশাদারিত্বে আমি আশ্বস্ত ছিলাম। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে যখন দৃশ্যটি শুট করা হয় তখন অত্যন্ত মার্জিত এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে চরিত্রের আবেগের অবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, শুধু শারীরিক অনাবৃততায় নয়। মধুর স্যারের দিকনির্দেশনা এবং দলের পেশাদারিত্বের কারণে আমি নিরাপদ এবং নিশ্চিন্তে এই দৃশ্যটিতে অভিনয় করতে পেরেছিলাম।’
তিনি আরও জানান, এই চরিত্রটি তার ক্যারিয়ারে খুব কঠিন একটি কাজ ছিল। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই চরিত্রের আবেগিক দুঃখ এবং হতাশা তুলে ধরা, যাতে দর্শক তার এই চরিত্রের কষ্ট এবং সংগ্রাম অনুভব করতে পারে। এ ছাড়া মনোজ বাজপেয়ীর মতো কিংবদন্তি অভিনেতা এবং মুঘদা গোদসে’র সঙ্গে অভিনয় করা ছিল তার জন্য বিশাল সম্মানের বলেও জানান তিনি।
এসি/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন