ফাইল ছবি
কিশোরগঞ্জ–৪ সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ফজলুর রহমান। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে (ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম) দলটি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। যদিও ৩ মাসের জন্য তার দলীয় পদ স্থগিত করেছিল বিএনপি।
২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর মিডিয়ায় সরব ছিলেন ফজলুর রহমান। তার অনেক বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হয়। একটি পক্ষ তাকে ‘ফজু পাগলা’ নাম দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করে। ধীরে ধীরে এই নামটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
ফজলুর রহমানের দাবি তাকে— ‘ফজু পাগলা’ নামটি দিয়েছেন মুফতি আমির হামজা এবং মিজানুর রহমান আজহারী। এই নাম দেওয়ায় তাদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন এই বিএনপি নেতা। এই উপাধি নিয়ে বেশ আনন্দিত তিনি।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘ফজু পাগলা! আমি দেখলাম কথা তো ঠিকই বলেছে! তাদের ধন্যবাদ দেই। মুফতি আমির হামজা, আজহারী, তাদের আমি ধন্যবাদ দেই আমাকে ফজু পাগলা বলার জন্য।’
আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ফজলুর রহমান। তিনি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচন করবেন। তারই এলাকায় আছে প্রসিদ্ধ ‘পাগলা’ মসজিদ।
সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, ‘আমি মনে মনে চিন্তা করলাম আরে, ফজু পাগলাই তো যথেষ্ট জিনিস! কারণ বাংলাদেশে কত মসজিদ আছে, কিন্তু সাধারণ ধরনের একটা মসজিদ আছে কিশোরগঞ্জে যার নাম হলো পাগলা মসজিদ, সেই পাগলা মসজিদে মানুষ যত সম্পদ দেয়, পাগলা মসজিদের যত সম্পদ আছে, এত সম্পদ তো বায়তুল মোকাররমেরও নাই! কাজেই পাগলা তো সাংঘাতিক ব্যাপার! কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ আর কিশোরগঞ্জের ফজু পাগলা।’
তিনি আরো বলেন, ‘পাগলা তো সাংঘাতিক একটা উপাধি। আমি এটা চিন্তা কইরা বের করেছি, আমাকে পাগলা নামটা দিল কেন মাওলানা নামধারী লোকগুলো। এটা কিন্তু ঠিকই বলছে। কারণ পাগলা মসজিদ যত সম্পদ পায়, মানুষ আমাকেও সব কিছু দিয়ে দেয়। খুব ভালো হইছে।’
খবরটি শেয়ার করুন