ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধ বন্ধে আমেরিকা প্রস্তাবিত পরিকল্পনা নিয়ে চলমান আলোচনায় ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফ্রান্সের প্যারিসে ইউরোপীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেছেন। আল–জাজিরা।
গতকাল সোমবার (১লা ডিসেম্বর) ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের প্রধান অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হলো তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, সার্বভৌমত্ব এবং ইউক্রেনের ভূমিতে রুশ দখলদারিকে বৈধতা দেবে—এমন কোনো ছাড় না দেওয়া। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ডগত ইস্যুটি আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
ইউক্রেনে যুদ্ধ চালানোর জন্য রাশিয়াকে পুরস্কৃত করার মতো কোনো সমাধানে না পৌঁছাতে সহযোগী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় হামলা শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকে চলমান এ যুদ্ধের অবসানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরালো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড ও ব্রিটেনের কর্মকর্তারা প্যারিসে বৈঠক করেছেন। তারা আমেরিকার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে ফোনালাপও করেছেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় হামলা শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকে চলমান এ যুদ্ধের অবসানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরালো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড ও ব্রিটেনের কর্মকর্তারা প্যারিসে বৈঠক করেন। তারা আমেরিকার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে ফোনালাপও করেছেন।
জেলেনস্কি বলেন, এক দিন আগে আমেরিকায় ইউক্রেনীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনার মূল বিষয়বস্তু নিয়েও বৈঠকে পর্যালোচনা করা হয়। ইউরোপে আরও বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।
মাখোঁ বলেন, ‘ইউক্রেনকেই তার নিজস্ব ভূখণ্ডের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।’ একই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধ অবসানে চুক্তির প্রশ্ন এলে ইউক্রেনের জন্য সম্ভাব্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে আরও আলোচনা হবে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে শান্তির পথের অগ্রযাত্রায় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জেলেনস্কির ‘ধারাবাহিক গঠনমূলক অবস্থান’-এর প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যৎ আলোচনায় রাশিয়াও নিজেদের দিক থেকে ‘কার্যকর ভূমিকা’ রাখবে।
আলোচনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গাটি হলো ভূখণ্ড–সংক্রান্ত ইস্যু।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে শান্তির পথের অগ্রযাত্রায় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জেলেনস্কির ‘ধারাবাহিক গঠনমূলক অবস্থান’-এর প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যৎ আলোচনায় রাশিয়াও নিজেদের দিক থেকে ‘কার্যকর ভূমিকা’ রাখবে।
আমেরিকার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার আজ মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, ওই বৈঠকের পর তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে চান। তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে আমেরিকাকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার মতো কোনো সমঝোতা কিয়েভ মেনে নেবে না।
জেলেনস্কির উপদেষ্টা রুস্তেম উমেরভ আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আমরা আমেরিকাকে বলেছি, রাশিয়া আমাদের ভূখণ্ড দখল করে রেখে সেটিকে বৈধতা দেওয়ার দাবি জানাবে—এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া মানে আন্তর্জাতিক আইন বলে আর কিছু থাকবে না। যে কেউ তখন অন্য পক্ষের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে শক্তির ব্যবহার করতে পারবে।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন